খুরা রোগের প্রকোপ বেড়েছে ঝিনাইদহে

খুরা রোগের প্রকোপ বেড়েছে ঝিনাইদহে

অনলাইন ডেস্ক

খুরা রোগের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলায়। এ রোগে আক্রান্ত আজ পর্যন্ত ৪০০ গরু ও বাছুর মারা গেছে। আক্রান্ত হয়েছে অন্তত ৪০ হাজার। প্রতি গ্রামে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে গরুর বাছুর।

আক্রান্ত হওয়ার কারণে গাভীর দুধ কমে গেছে।

জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গরুর বাছুরের সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখ। শীতের শুরুতে খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে ব্যাপক ভাবে দেখা দিয়েছে।

 

ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অধিকারী জানান, শৈলকুপা উপজেলায় ১২ হাজার ৮৯৬টি গরু বাছুর আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে ১০৯টি। কালীগঞ্জ উপজেলার মারা গেছে ৮৫টি এবং আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭৬০টি। মহেশপুর উপজেলায় আক্রান্ত ৫ হাজার ৭৫৮টি, মারা গেছে ৫৯টি। কোটচাঁদপুর উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজার, মারা গেছে ২৬টি।  


মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংস আচরণ, হাঁটু মুড়ে সন্ন্যাসিনীর আবেদন

সারাদেশে নিয়োগ দেবে ইবনে সিনা ট্রাস্ট

কাকে উদ্দেশ্য করে তাহসানের ৫ শব্দের এমন স্ট্যাটাস

জিতেও বিদায় নিতে হলো রোনালদোর জুভেন্টাসকে


হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছে ৬২৫টি, মারা গেছে ১৭টি। সদর উপজেলার সঠিক তথ্য জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে এসে পৌঁছেনি। তবে আক্রান্তে সংখ্যা আনুমানিক ১০ হাজার হবে। বিষয়খালী ও কেশবপুর গ্রামেই ৩০টি গরু মারা গেছে। এ উপজেলায় শ’ খানেক গরু বাছুর মারা গেছে।   

ঝিনাইদহের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. পরিতোষ চন্দ্র মিত্র জানান,  খুরা রোগ একটি ভাইরাস বাহিত রোগ। যে সব চারপায়া প্রাণি জাবর কাটে সে সব প্রাণি এ রোগে আক্রান্ত হয়। অত্যন্ত ছোঁয়াচে এ রোগ। গোয়ালে একটি গরু আক্রান্ত হলে অন্য গরুও আক্রান্ত হয়। তবে বাছুর গরু আক্রান্ত হলে হার্টে পচন ধরে। মারা যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আক্রান্ত গরুর মুখে ও পায়ের খুরে ঘা হয়। জ্বরও আসে, খেতে পারে না।  
 
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনন্দ কুমার অখিকারী বলেন, প্রতি বছরই গরু বাছুরের খুরা রোগের প্রাদুর্ভাব হয়ে থাকে। এবার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। যে কারণে জেলায় সাড়ে ৫ লাখ গরু আছে। এরমধ্যে ২৭ হাজার গরু বাছুরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

news24bd.tv আয়শা