এ বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৭০ টাকা; সর্বোচ্চ ২,৩১০ টাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মাদারীপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা চুড়ান্ত হয়নি
বেলাল রিজভী, মাদারীপুর:
মাদারীপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্তম্ভে এখনো লিপিবদ্ধ করা হয়নি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পাশে অযত্ন আর অবহেলায় পরে আছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামহীন স্তম্ভটি। এছাড়া জেলার সবচেয়ে বড় বদ্ধভূমিটি এখন গোচরনভূমি। অবহেলিতভাবে পরে আছে অন্যান্য বদ্ধভূমিগুলোও। জেলার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও নিরব জেলা প্রশাসন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মাদারীপুর জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা চুড়ান্ত করতে পারেনি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। তাই শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে স্তম্ভ নির্মাণ হলেও তাতে লেখা যায়নি শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম। অযত্ন আর অবহেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের পাশে নিরবে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামহীন স্তম্ভটি।
অন্যদিকে জেলার ১৫টি বদ্ধভূমি পরে আছে অবহেলায়। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় বদ্ধভূমিটি হচ্ছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পরিত্যাক্ত জুট মিলের মধ্যে। দেখে বুঝার উপায় নেই এটি কোন বদ্ধভূমি। এ যেন একটি গোচরণভূমি। প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধারা এই খোলা মাঠে মোমবাতি জ্বালিয়ে স্বরণ করেন সেই নিহতদের। যাদের পাক বাহিনী হত্যা করে এখানে মাটিচাপা দিত। এতে ক্ষুব্দ মুক্তিযোদ্ধারা, ক্ষুব্দ দেশপ্রেমিক মানুষেরা। মুক্তিযোদ্ধা
জহিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘দীর্ঘদিনেও মাদারীপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা নেই। এটা দুঃখজনক। আমরা চাই দ্রুত এই তালিকা প্রনয়ন করা হোক।’
রাস্তায় ফেলে যুবককে মারপিট, ছবি ভাইরাল
বিয়ে করাতে রাজি না হওয়ায় মাকে কুপিয়ে হত্যা
স্ত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ, সন্ত্রাসীদের হাতে স্বামী খুন
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির হবে কিছুদিন পরেই। অথচ নতুন প্রজন্ম জানে না কারা এই স্বাধীনতার জন্য জীবন দিলো। আমরা চাই সরকার এই স্মৃতি স্তম্ভে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা লিপিবদ্ধ করবে এবং দ্রুত বদ্ধভূমিগুলো চিহ্নিতকরণ ও সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করবে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন,‘বদ্ধভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতি স্তম্ভে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা খোদাই করে লিপিবদ্ধ করার জন্য কাজ চলছে। মন্ত্রনালয় থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হাতে পেলেই আমরা তা স্মৃতি স্তম্ভে লিপিবদ্ধ করার ব্যবস্থা নেব।’
news24bd.tv / কামরুল
পরবর্তী খবর
মন্তব্য