প্রাইভেট হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে আয়া ধর্ষণের অভিযোগ

প্রাইভেট হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে আয়া ধর্ষণের অভিযোগ

Other

ঝিনাইদহের মহেশপুরের খালিশপুর বাজারে গ্রামীণ প্রাইভেট হাসপাতালের (পূর্বের নাম মুক্তি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার) মালিকের বিরুদ্ধে আয়া ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী নিজেই বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বাদীর লিখিত অভিযোগে তিনি বলেছেন, ‘গত দুই বছর আগে খালিশপুরে অবস্থিত গ্রামীণ প্রাইভেট ক্লিনিকে আয়া পদে চাকরিতে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকে ক্লিনিক মালিক জুলফিকার আলী চকুরির সুবাদে বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন।

আমি তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে চাকুরি ছেড়ে অন্য যায়গায় চলে যাই। এরপরও তিনি বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাব অব্যাহত রাখেন। আমার পরিবার গরিব-অসহায় হওয়ায় অনেক কিছু মুখ বুজে সহ্য করি। একপর্যায়ে আমি তার কুপ্রস্তাব রাজি হয়ে যাই।
পরে তিনি বিভিন্ন সময় আমাকে ফোন করে তার নিজ প্রতিষ্ঠানে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। শারীরিক সম্পর্কের ফলে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। আমার শরীরের গঠন ও পেট উঁচু হওয়ায় জুলফিকার কে সবকিছু খুলে বলি এবং ডাক্তারের কাছে যায় ও আলট্রাসনো রিপোর্টে পেটে বাচ্চা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। এই খবর জুলফিকারকে বললে তিনি প্রথমে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হনে যান। পরে তিনি বিভিন্ন কায়দায় আমাকে পেটের বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেলতে বলেন। আমি তার প্রস্তাবে রাজি হলে ক্লিনিকের অর্ধেক অংশীদারি লিখে দেবেন এবং আমাকে বিয়ে করবেন বলে জানান। পরে তিনি কোটচাঁদপুর মাহাবুবা ডায়াগস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিকে কর্মরত নার্স তাসলি বেগমকে বলে আমাকে ওষুধের মাধ্যমে গর্ভপাত করিয়ে মৃত বাচ্চা ও ডাক্তারি রিপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। পরে সাইফুল নামের এক সাংবাদিকের সাহায্য নিয়ে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি হই এবং মহেশপুর থানায় ৭ মার্চ অভিযোগ দায়ের করি। ’


বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

বিয়ে করলেন লাক্স তারকা মিম

প্রতিশোধমূলক পর্ন কী, এটি কীভাবে একটি মেয়ের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে?

মরিয়মের কিছু হলে ইমরান ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী দায়ী: নওয়াজ শরিফ


এ ব্যাপারে অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, থানায় একটা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। বাদীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষ না হাওয়া পর্যন্ত মামলার ব্যাপারে বেশি কিছু বলা সম্ভব না।  

এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হৈচৈ ও আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে ক্লিনিক মালিক জুলফিকার মোবাইল ফোন বন্ধ করে এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।  

news24bd.tv / কামরুল