বাড়ি নোয়াখালীতে। সেখানেই এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া। এরপর দালালের খপ্পরে পড়ে কুয়েত আসা। দালাল বলেছিল মেডিকেল ভিসায় কাজ দেবে কুয়েতে।
এখানে এসে বুঝলাম আমার ক্লিনার ভিসা।কেউ কি জেনে-শুনে এই ভিসায় আসে? এখন রাস্তার ময়লা পরিষ্কার করছি। মধ্যপ্রাচ্যে যারা আছে তারা জানে দালালের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল থাকে না। একটার কথা বললে আরেকটা কাজ দেয়।
কথাগুলো বলছিলেন সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে আসা যুবক রবিন। তিনি আরও বলেন, ‘এখানে আসতে সবমিলিয়ে আমার সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ক্লিনার ভিসায় তো বেতন কম। শুনেছি ৬০-৮০ দিনার (১৬-২২ হাজার টাকা)। থাকা কোম্পানির হলেও খাওয়া কিন্তু নিজের। ’
এভাবে চলেন কীভাবে, জানতে চাইলে রবিন বলেন, ‘কী আর করার আছে, কপালে যা থাকে তাই হবে। ৮ ঘণ্টা কোম্পানির ডিউটি শেষ করে বিকেলে একটা পার্টটাইম কাজ করি। সেখান থেকে কিছু আয় হয়। এভাবেই কোনোমতে চালিয়ে নিচ্ছি। ’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস শুরুর আগে এসেছি। এরপর মহামারির জন্য দুই মাস কাজ বন্ধ ছিল। বাড়িতে অনেক ধারদেনা করেছিলাম। সেসব টাকা ধীরে ধীরে দিতে হচ্ছে। পরিবারের একটু সুখের আশায় বিদেশ এসেছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো বেতনে চাকরি করব। স্বপ্ন আমার স্বপ্নই রয়ে গেল। ’
আরও পড়ুন
জাজের আজিজের হাত ধরে নায়িকা হচ্ছেন জেসিয়া
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মিথ্যা, টিভি ফুটেজের জন্য অভিনয় করেছি: মন্ত্রী
এলডিপি সভাপতি অলি আহমদের জন্মদিনে নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
রবিনের সঙ্গে ক্লিনার ভিসায় কাজ করেন চাঁদপুরের যুবক আনোয়ার। পরিবারের অভাব ঘোচাতে বহুদিন আগে তিনিও কুয়েত আসেন। ক্লিনার ভিসায় আসার পর আর ভিসা পরিবর্তন করতে পারেননি আনোয়ার।
তিনি বলেন, ‘দালালের মাধ্যমে কুয়েত এসেছি। ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠে কোম্পানির পোশাক পরে কাজে যেতে হয়। সারাদিন তপ্ত রোদে কখনো আবার হাড় কাঁপানো শীতে রাস্তা পরিষ্কার করতে হয়। ডিউটি শেষে বাসায় গিয়ে রান্না করতে হয়। এভাবে চলছে আমাদের জীবন। ’
news24bd.tv আহমেদ