মা মাছ রক্ষায় নদীতে সিসি ক্যামেরা

মা মাছ রক্ষায় নদীতে সিসি ক্যামেরা

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদী। প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে হালদা নদীতে কার্প–জাতীয় (রুই, কাতলা ও মৃগেল) মা মাছ ডিম ছাড়ে। সামনেই এসব মাছের ডিম দেওয়ার সময়। তাই তো  এবার হালদা পাড়ে বসানো হচ্ছে  সিসি ক্যামেরা।

ডিমওয়ালা মাছ ধরা রোধে হালদা নদীতে এসব উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সিটি ক্যামেরা বসলে অবৈধ জাল পেতে মা-মাছ নিধন রোধ, ইঞ্জিনচালিত নৌকা চালাচল বন্ধ, বালু উত্তোলন বন্ধ ও ডলফিনসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হালদা নদীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা সম্ভব হবে।


অভাব দুর হবে, বাড়বে ধন-সম্পদ যে আমলে

সংবাদ উপস্থাপনায় ও নাটকে রূপান্তরিত দুই নারী

করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে বাধা নেই ইসলামে

কমেন্টের কারণ নিয়ে যা বললেন কবীর চৌধুরী তন্ময়


এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর হালদা গবেষক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া সাংবাদিকদের জানান, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নৌ-থানা ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে টহল জোরদার ও এবং মনিটরিং করার উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধু হেরিটেজ ঘোষিত হালদা নদী আমাদের জাতীয় সম্পদ।

এ সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। তাই হালদাপাড়ের বাসিন্দাদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান।

নৌ-পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, মা মাছ যাতে কেউ ধরতে না পারে এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পিটিজেড সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মদুনাঘাট থেকে আমতুয়া অংশ এই ক্যামরাগুলোর আওতায় মনিটর করা সম্ভব হচ্ছে।

নদীর আরও দুটি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানেও আমরা সিসি ক্যামেরা লাগানোর চেষ্টা করব। সামনেই মা-মাছ ডিম ছাড়বে, তাই ফাঁড়িতে জনবলও বাড়ানো হয়েছে।

এসব ক্যামেরা নদীর রামদাস মুন্সির হাট এলাকায় অস্থায়ী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মনিটর করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকায় নৌ-পুলিশের ডিআইজির কার্যালয়, সদরঘাট থানা থেকেও মনিটর করা হয় বলে জানান ওসি এবিএম মিজানুর রহমান।

হালদা নদীতে যারা মাছ ধরবেন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতেই সিসি ক্যামেরা বসছে বলে জানান স্থানীয় সচেতন মানুষ।

news24bd.tv/আলী