দেশে আত্মহত্যা বেড়েছে ৪০ শতাংশ

দেশে আত্মহত্যা বেড়েছে ৪০ শতাংশ

অনলাইন ডেস্ক

করোনাকালেও গেল এক বছরে দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। গেল এক বছরে সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন নারী-পুরুষ। পারিবারিক জটিলতা, সম্পর্কের অবনতি, পড়াশোনা নিয়ে হতাশা, আর্থিক সংকট এসব আত্মহত্যার ঘটনার মূল কারণ।

তরুণদের সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে দেশের আত্মহত্যার এমন চিত্র উঠে এসেছে।

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে অনলাইনে আয়োজিত এক ওয়েবনিয়ারে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান ও কারণ তুলে ধরা হয়।

নারীর আত্মহত্যা বেশি
সারা দেশে করোনাকালে পুরুষের চেয়ে বেশি নারী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। নারীদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যাটা ৫৭ শতাংশ এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৪৩ শতাংশ।

মোট আত্মহত্যার ঘটনা ১৪ হাজার ৪৩৬টি।

এর মধ্যে নারীর আত্মহত্যার ঘটনা ৮ হাজার ২২৮টি এবং পুরুষের আত্মহত্যার ঘটনা ৬ হাজার ২০৮টি। আত্মহত্যার ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী রয়েছেন ৪৯ শতাংশ, ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী ৩৫ শতাংশ, ৩৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ১১ শতাংশ। সবচেয়ে কম আত্মহননকারী হচ্ছেন ৪৬ থেকে ৮০ বছর বয়সীরা, ৫ শতাংশ।

সংগঠনটি বলছে, দেশের দৈনিক গণমাধ্যম ও হাসপাতাল ও পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পর্যবেক্ষণ করে জরিপটি করা হয়েছে। এ ছাড়া সংগঠনটি ৩২২টি আত্মহত্যার বিষয়ে বিশ্লেষণ করে আত্মহত্যাকারীদের বয়স, লিঙ্গ ও আত্মহত্যার কারণ ফুটিয়ে তুলেছে। জরিপটি গত বছরের ৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।

জরিপের তথ্য তুলে ধরে আরও জানানো হয়, দেশে মোট আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ পুরুষ, বাকি ৪৩ শতাংশ নারী। ২০ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা করেছেন। যেসব কারণে আত্মহত্যা করেছে, সেগুলোর মধ্যে আর্থিক, পড়াশোনা, পারিবারিক সম্পর্কজনিত জটিলতা, হতাশা ও বিষণ্ণতা অন্যতম।

চিকিৎসকরা বলছেন, এই করোনাকালে লিঙ্গ, শ্রেণির ভিন্নতায় আলাদা আলাদা রকমের মানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে। কারও চাকরি নেই, কেউ স্বামী-সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত, কেউ ব্যবসায়িক কারণে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, কেউ আবার নিজের শরীর স্বাস্থ্য নিয়ে এতটাই চিন্তিত হয়ে পড়ছেন যে তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ দেখা দিচ্ছে। আর সে অবসাদই ঠেলে দিচ্ছে আত্মহত্যার দিকে।


অভাব দুর হবে, বাড়বে ধন-সম্পদ যে আমলে

সংবাদ উপস্থাপনায় ও নাটকে রূপান্তরিত দুই নারী

করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে বাধা নেই ইসলামে

কমেন্টের কারণ নিয়ে যা বললেন কবীর চৌধুরী তন্ময়


অনুষ্ঠানে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তানসেন রোজ প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের জোর দাবি, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি পরিবার কীভাবে আত্মহত্যা কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে রূপরেখা দাঁড় করানো দরকার। সবাইকে সচেতন না করতে পারলে ফলাফল অধরাই থেকে যাবে।

আঁচল ফাউন্ডেশনের যাত্রা ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল। তরুণদের এ সংগঠনটি মূলত শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে থাকে। প্রশিক্ষণ, কর্মশালার মাধ্যমে তারা করোনাকালেও শিক্ষার্থীদের নানা কাউন্সিলিং দিয়েছে।

news24bd.tv/আলী