মেজর জিয়া এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

মেজর জিয়া এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে

Other

জঙ্গি জগতের আলোচিত নাম মেজর জিয়া এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সামরিক প্রশিক্ষণ, চাতুরতা আর বুদ্ধিমত্তার কারনে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাত থেকে বার বার গ্রেফতার এড়াতে পেরেছেন সেনাবাহিনী থেকে বহিস্কৃত মেজর জিয়া। দেশের সবগুলো বড় জঙ্গি হামলার অন্যসব জঙ্গিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হলেও আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে মেজর জিয়াকে গ্রেফতার করতে।  

পুলিশি প্রতিবেদনে বলা হয় মুক্তমনা লেখক ও ব্লগার হত্যাকান্ডের অন্তত ছয়টির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া।

জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের রায়েও আদালত বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া। কিন্তু সবার প্রশ্ন কোথায় মেজর জিয়া?

news24bd.tv

২০১৩ সালে আনসার আল ইসলামের তাত্ত্বিক গুরু জসীম উদ্দীন রাহমানী গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছিলো , রাজধানীর বছিলায় যে মসজিদের রাহমানী খতিব ছিলেন, সে মসজিদে যাতায়াত ছিল জিয়াউল হকের। যোগাযোগ ছিল ই–মেইলেও।


অভাব দুর হবে, বাড়বে ধন-সম্পদ যে আমলে

সংবাদ উপস্থাপনায় ও নাটকে রূপান্তরিত দুই নারী

করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে বাধা নেই ইসলামে

কমেন্টের কারণ নিয়ে যা বললেন কবীর চৌধুরী তন্ময়


এরও প্রায় তিন বছর পর ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাড্ডার সাতারকুলে একটি অভিযানের পর পুলিশ কাঠামো সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।

তারা জানতে পারে, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, এবিটির সামরিক প্রধান জিয়াউল হক জিয়া। এখনো এই জঙ্গিকে খুঁজছে র‌্যাব।

জানা যায় তিন বছরে তার তত্ত্বাবধানে এবিটির অন্তত আটটি স্লিপার সেল তৈরি করে। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সায়মনের ময়মনসিংহের বাসায় কয়েক মাস থেকেছেন জিয়া। টঙ্গীতে গিয়েছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে। তল্লাশি অভিযান শুরুর আগেই সটকে পড়েন। জঙ্গি জিয়ার দেশেই অবস্থানের সম্ভাবনা বেশি উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার জানান আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বার বার খুব কাছাকাছি যাওয়ার পরও কৌশলে পালিয়ে যান জিয়া।

জিয়ার পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক। তার বাবার নাম সৈয়দ মোহাম্মদ জিল্লুল হক। গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরে। আত্মগোপনে যাওয়ার আগে থাকতেন মিরপুর সেনানিবাসে।  

news24bd.tv আয়শা