গরম মানেই ঘামাচির উপদ্রব। আর ঘামাচি থেকে উপশম পেতে ভুক্তভোগীরা অনেক কিছুই করে থাকেন। কখনো তা হয় কার্যকারী, আবার কখনো না জেনে উল্টো নিজের বিপদও ডেকে আনে অনেকে।
দেখে নেওয়া যাক ঘামাচি উপশমের কার্যকরী কিছু উপায়-
১. ঘামাচি থেকে বাঁচতে ও ঘামাচি হলে তার থেকে কিছুটা উপশম পেতে কম বেশি সকলেই ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেন।
কিন্তু মুশকিল হল শুধু পাউডার ব্যবহার করলেই হবে না। যেখানে পাউডার ব্যবহার করেছেন সেই জায়গা পরেরদিন স্নানের সময় ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে তবেই আপনার শরীর সঠিক ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে। নাহলেই কিন্তু ঘামাচি হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।২. ঘামাচি হলে শরীরে চুলকানি থেকে শুরু করে র্যাশ ও জ্বালা শুরু হয়।
৩. ঘামাচির সমস্যায় আরেকটি জিনিস রয়েছে যেটা একেবারে ম্যাজিকের মত কাজ করে। আপনার যদি ঘামাচির কারণে র্যাশ ও চুলকানি হয় তাহলে ফ্রিজের থেকে বরফ বের করে সেটাকে একটুকরো কাপড়ে মুড়ে নিন। এরপর সেই কাপড় ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে বেশ কিছুক্ষন ঘষতে থাকুন দেখবেন দারুন আরাম পাবেন।
৪. ঘামাচি হলে অনেক সময় চুলকানি থামানো মুশকিল হয়ে পরে। আবার এদিকে চুলকালে জ্বালা শুরু হয়। এই জেলা শুরু হলে একটি কাপের মধ্যে বেসন আর জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণটি ঘামাচির জায়গায় লাগিয়েদিন। কিছুক্ষন পরেই বুঝতে পারবেন জ্বালা কমে গেছে। এরপর তা ধুয়ে ফেলতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ
অভিনেতা ফারুকের রক্তে ইনফেকশন ধরা
আইরিশদের শেষ ম্যাচেও হারালো উদীয়মান টাইগারা
চাঁদ দেখা যায়নি, শবে বরাত ২৯ মার্চ
১৭ মার্চ সারা দেশে মার্কেট-দোকান বন্ধের ঘোষণা
৫. অ্যালোভেরা হল এমন একটি উপাদান যার ব্যবহারের শেষ নেই। অ্যালোভেরা আবার অ্যান্টিসেপটিকেরও কাজ করে। তাই ঘামাচি হলে র্যাশ ও চুলকানির হাত থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থানে দিনে ২-৩ বার অ্যালোভেরা লাগাতে পারেন।
৬. ছোলার ডাল অনেকেরই প্রিয় খাবার। কিন্তু জানেন কি ঘামাচি সারানোর জন্য ছোলার ডাল একেবারে ম্যাজিকের মত কাজ করে। প্রথমে ছোলার ডাল সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে, এরপর সেটাকে ভালো করে বেটে সেই বাটা ডাল ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তাহলেই দেখবেন দারুন আরাম পাবেন। এরপর আপনি জল দিয়ে ধুয়ে নিতে পারেন।
news24bd.tv / নকিব