আমার দেখা বঙ্গবন্ধু !

আমার দেখা বঙ্গবন্ধু !

অনলাইন ডেস্ক

শিরোনাম দেখে হয়তো অনেকেই চমকে উঠবেন। অনেকেই ভাববেন ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর জন্ম নেয়া মানুষটি বঙ্গবন্ধুকে দেখলো কিভাবে। সাধারণত এই ধরণের শিরোনাম হয় যারা ওই মহামানবটিকে কাছ থেকে দেখেছেন, একসাথে চলেছেন তাদের লেখায়। কিন্তু আমরা যারা পরবর্তী প্রজন্ম, তারা কেন স্বচক্ষে না দেখেই তাঁর প্রতি ভালোবাসায় অন্ধ।

নিশ্চয় এর কোনো ব্যাখ্যা আছে। কোন না কোন ভাবে অবশ্যই দেখেছি।

একজন মানুষের বেঁচে থাকার জন্য তার একটি পরিচয়ের প্রয়োজন, একটি ঠিকানা প্রয়োজন, আত্মমর্যাদার প্রয়োজন। ঠিক তেমনি একটি জাতির বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন একটি পরিচয় ,ঠিকানা ও আত্মমর্যাদার।

একটু চিন্তা করে দেখেনতো, আমরা যারা বাঙালি জাতি, যাদের ঐতিহ্য হাজার বছরের তাদের স্বাতন্ত্র্য কোনো পরিচয় ছিল কিনা। আমরা কখনো বলতে পারতাম কিনা আমাদের কোনো পরিচয় আছে,ঠিকানা আছে কিংবা আত্মমর্যাদা আছে।  

১৯৭১ সালের আগেও আমরা শোষিত হয়েছি কখনো সুলতানদের দ্বারা, কখনো শোষণ করেছে মোঘল’রা, কখনো ব্রিটিশ, সর্বশেষ পাকিস্তানিরা। ১২০০ খ্রীষ্টাব্দের কোনো এক সময় দিল্লির প্রদেশও ছিল আপনার আমার সোনার বাংলা। ডাচ ওলন্দাজ কেউ বাদ যায়নি আমাদেরকে শোষণ করা থেকে। এই জন্যই বলা হয় হাজার বছরের বাঙালির ৫০ বছরের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।  


মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক

মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

শুভ জন্মদিন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান


আজ বিশ্বের বুকে বাঙালী হিসাবে আমার পরিচয় আছে, আত্মমর্যাদা আছে, আমার একটা দেশ ও ঠিকানা আছে। আর কি চাই জাতিসত্তার অস্তিত্ব ধরে রাখতে। যে পরিচয়টি দিয়েছেন একজন মানুষ তাঁর সারাজীবনের সংগ্রামের বিনিময়ে। আমার পরিচয় খুঁজতে গিয়ে আমি দেখেছি আমার মায়ের ভাষার জন্য লড়াই করেছেন বঙ্গবন্ধু। আমার শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়ন করতে ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

আমার আজন্ম অধিকার আদায়ের জন্য ৬ দফা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর নামের উপরই হয়েছে ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান। বাঙালীর অধিকারের পক্ষে আন্দোলনের ম্যান্ডেট নিতে ৭০ এর নির্বাচন করে জিতেছেন। আমার পক্ষে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক হুঙ্কার দিয়েছেন যা আজ বিশ্ব হ্যারিটেজ। সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদেরকে লাল সবুজের একটি ভূখণ্ড দিয়েছেন, যা ছিল হাজার বছরের বাঙালীর পরম আরাধ্য।
 
একজন গর্বিত বাঙালী হিসাবে আমার আর কি চাওয়ার আছে। আমার পরিচয়ের সবটুকুই অর্জন করে দিয়েছেন তিনি। আপনার আমার অধিকার বাস্তবায়নের জন্য সারাটি জীবন সংগ্রাম করেছেন। এক যুগেরও বেশি সময় জেলখানায় কাটিয়েছেন।  

তাঁকে দেখার জন্য আমার তাঁর সময়ে জন্মানোর প্রয়োজন নেই। তাঁকে দেখার কিংবা তাঁর সাথে চলার প্রয়োজন নেই। আমি আমার জন্য তাঁর সংগ্রাম দেখেছি। তাঁর ত্যাগ দেখেছি তাঁর আদর্শকে ধারণ করেছি। এইতো অনেক।

 news24bd.tv আয়শা

 

এই রকম আরও টপিক