জাপানে সমলিঙ্গদের বিয়ে না মানা অসাংবিধানিক বলেছে আদালত

জাপানে সমলিঙ্গদের বিয়ে না মানা অসাংবিধানিক বলেছে আদালত

অনলাইন ডেস্ক

জি৭ দেশগুলির মধ্যে জাপানই একমাত্র দেশ, যেখানে সমলিঙ্গের বিয়ে পুরোপুরি স্বীকৃত নয়। তবে জাপানের একটি জেলা আদালত সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে বলেছে, এই ধরনের বিয়ে না মানাটাই অসাংবিধানিক।

এই মামলাটি করেছিলেন গে ও লেসবিয়ান সম্প্রদায়ের ছয় জন। এই রায়ে তারা উল্লসিত।

জাপানের সংবিধানে বলা হয়েছে, উভয়লিঙ্গের সম্মতিতে বিয়ে হবে। যেহেতু উভয়লিঙ্গের কথা বলা হয়েছে, তাই সমলিঙ্গের বিয়ে সেখানে স্বীকৃতি পায় না। এখন জাপানে যে ব্যবস্থা চালু আছে তাতে সমলিঙ্গে বিয়ে হলে, সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হন বিবাহিতরা।  

তাদের পার্টনারের কোনো বাচ্চা থাকলে, তারাও সম্পত্তির অধিকার পায় না।

তবে পুরসভাগুলি পার্টনারশিপ সার্টিফিকেট দেয়। তাতে বাড়ি ভাড়া করা বা চিকিৎসার সুবিধা পেতে কোনো অসুবিধা হয় না সমলিঙ্গে বিয়ে করা মানুষদের। কিন্তু তারা এখনো অন্যদের মতো পুরো আইনি অধিকার পান না। অনেক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত।

আবেদনকারীরা আদালতে ক্ষতিপূরণও দাবি করেছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, আইনসঙ্গতভাবে বিয়ে করতে না পেরে তারা যে মানসিক বেদনার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, তার জন্য সরকারকে প্রত্যেককে দশ লাখ ইয়েন ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আদালত অবশ্য এই দাবি মানেনি।


যুক্তরাষ্ট্রকে কিমের বোন ইয়ো জংয়ের হুঁশিয়ারি

ট্রাম্পকে জিতিয়ে দিতে কাজ করেছেন পুতিন: গোয়েন্দা প্রতিবেদন

বিয়ের আসরেই পাত্রপক্ষের অভদ্রতা, বরকে তালাক কনের!

অবশেষে আড়ংয়ের দুঃখ প্রকাশ, সেই যুবককে চাকরির প্রস্তাব


তবে মামলাকারীরা জানিয়েছেন, তাদের বিয়ে করতে না দেয়ার বিষয়টিকে অসাংবিধানিক বলেছে আদালত, এটাই তাদের বড় জয়। জাপানের অন্যত্র এই ধরনের চারটি মামলা চলছে। এই রায় সেগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে জাপানকে তুলনায় উদার বলে মনে করা হয়। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে হোমোসেক্সুয়াল সেক্স স্বীকৃত। কিন্তু এলজিবিটি-দের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়নি। তাই অধিকাংশ সময়ই তারা তাদের সম্পর্কের কথা গোপন করেন।

কয়েকটি বাণিজ্যিক সংস্থা জানিয়েছে, জাপানে সমলিঙ্গের বিয়ে স্বীকৃত নয় বলে তারা অসুবিধায় পড়েন। অনেক সময় দক্ষ মানুষেরা অন্য দেশে চলে যান। গত বছর অ্যামেরিকান চেম্বারস অফ কমার্স বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, এই পরিস্থিতির জন্য আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে জাপানের অসুবিধা হচ্ছে। কয়েকটি কোম্পানি এই সমস্যা মেটাতে কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে, তবে তার সীমাবদ্ধতা আছে।

জাপান সরকারের যুক্তি, সংবিধানে সমলিঙ্গ বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। কিন্তু আইনজ্ঞদের মতে, দুইজনের সম্মতিতে বিয়ের কথা সংবিধানে বলা হয়েছে। তাই সমলিঙ্গের দুই জন যদি বিয়ে করতে সম্মত হন, তা হলে তাদেরও বাধা দেয়া উচিত নয়।

news24bd.tv আয়শা