দিনে নয়, রাতে গোসল করুন

দিনে নয়, রাতে গোসল করুন

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

একটি স্বাস্থ্যকর ঘুম কে না চায়? সারাদিনের ক্লান্তি আর অবসাদ কাটাতে ভালো একটি গোসল আনতে পারে প্রশান্তি। তবে, রাতে গোসল করার কথা শুনলে অনেকেই ভ্রূ কপালে তোলেন। তার কারণ হলো অনেকেরই ধারণা রাতে গোসল করলেই ঠাণ্ডা লেগে যাবে। কিন্তু সকালে ওঠার অভ্যাস নেই অনেকেরই।

তাই সকালে গোসল করাও হয়ে ওঠে না। তবে সারা দিনের ক্লান্তি আর শরীরে জমে থাকা ধুলা ময়লা দূর করতে রাতে গোসলের বিকল্প নেই।

দিনে নাকি রাতের গোসল স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর এই নিয়ে দ্বিধা থাকলেও নিউইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট ডক্টর সামির জাবের জানিয়েছেন রাতের গোসলই স্বাস্থ্যকর। সকালে গোসল করার অভ্যাস থাকলেও রাতে অন্তত আরেকবার শরীর এবং মুখ ধুয়ে নেওয়া জরুরী ।

বিশেষ করে বসন্ত এবং গ্রীষ্মে এই অভ্যাস অবশ্যই রপ্ত করা উচিত বলে মনে করেন তিনি। কারণ, এতে ত্বক ভালো থাকে।


সামির জাবেরের মতে, বসন্তে পোলেনের মতো এলার্জেন থাকে বাতাসে। এগুলো শরীরে লেগে যায়, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এছাড়াও সারাদিন বাইরে কাজ করার পরে শরীর ঘেমে যায়। ত্বকে ধুলাবালি লেগে থাকে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই গোসল করা উচিত।


হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির আরেক গবেষণাতেও বলা হয়েছে রাতে গোসল স্বাস্থ্যকর। কারণ রাতে গোসল করলে ঘুম ভালো হয়। যাদের ঘুম কম হয় কিংবা ইনসমনিয়ার সমস্যা আছে তাদের বিছানায় যাওয়ার আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।

ইয়েল স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক মোনা গোহরা জানাচ্ছেন, যদি আপনি খুব অগোছালো হন, তাহলে অবশ্যই দিনে গোসল করুন। কারণ,  সকালে গোসল করলে ত্বকের ফোলা ভাব কমাতে ও ফ্রেশ দেখাতে সাহায্য করে। যদি কোনও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তা হলেও সকালে গোসল করা উচিত।

সকালে গোসল আপনাকে সারা দিনের কাজের জন্য সক্রিয় ও উদ্বুদ্ধ করবে। যদি সকালে ওয়ার্কআউট করার অভ্যাস থাকে তাহলেও অবশ্যই ওয়ার্কআউটের পর গোসল করুন। শরীর থেকে যে ঘাম বেরোয় তা পরিষ্কার করে ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করবে গোসল।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন অনুযায়ী, গরম জলে গোসল করার পর শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। যার ফলে ক্লান্তি দূর হয় ও ঘুম আসে। যারা ইনসমনিয়ায় ভুগছেন তাদের জন্য রাতে গোসল করা খুবই উপকারী। আবার উইমেন’স স্কিন হেলথ প্রোগ্রাম ফর নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিনের সহকারি অধ্যাপক বেথানি স্ক্লোসারের মতে, রাতে গোসল করলে ত্বক পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকে।

সারা দিন শরীর থেকে অতিরিক্ত তেল বের হয় ও ধুলো, ময়লা জমে রাতে করলে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। আবার গোসল করার সময় জলের তাপমাত্রাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেশীর শিথিলতার জন্য সবচেয়ে কার্যকর কুসুম গরম জল। যা ঘুম আনতে সাহায্য করে। ঘুম যত ভাল হবে শরীর তত সুস্থ থাকবে। ত্বক ও চুলও উজ্জ্বল হবে। আবার খুসকি দূর করতেও উপকারী কুসুম গরম জল।

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর