শেরপুরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

শেরপুরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

Other

শেরপুরে রাত্রি রহমান রিতু (১৩) নামে এক কিশোরীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই কিশোরীর মা আকলিমা বেগম।

১৯ মার্চ শুক্রবার বিকেলে শহরের মাধবপুরস্থ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও মামলা সূত্রে জানা যায়, স্বামী পরিত্যক্তা আকলিমা বেগম তার নাবালিকা মেয়ে রাত্রি রহমান রিতুকে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা এলাকায় নানীর কাছে রেখে তিনি জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে রিতুর লেখাপড়ার খরচ চালাতেন। স্থানীয় নতুন কুড়ি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় রিতুকে ফুঁসলিয়ে একই এলাকার মো. হারুন মিয়ার বখাটে ছেলে মো. রাশেদ (১৮) তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।


সিরাজগঞ্জে ঘাতক ট্রাকচাপায় গেল তিন প্রাণ

চট্টগ্রামে হোটেলে বিদেশি নাগরিকের মরদেহ

বিমান পড়া মেলা

দৈনিক ২০০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি পেয়ে ‘ভয়ে ইসরাইল’

নরসিংদীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে গৃহহীনরা পেলেন ঘর


পরে বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে রাশেদ। এতে রিতু অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সে তার প্রেমিক রাশেদকে বিয়ের করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু রাশেদ এসব প্রেম ও ভালোবাসার কথা অস্বীকার করে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এক পর্যায়ে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রিতু রাশেদের বাড়িতে গেলে রাশেদের আত্মীয়-স্বজনরা তাকে অপমান-অপদস্থ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং তাকে মরে যেতে বলে।

ওইদিন দুপুরে রিতু একটি ডায়েরিতে ‘রাশেদকে তুমি বাঁচতে দিও না আম্মু।   রাশেদ আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে। রাশেদ এর কারণে আমি আমার জীবন শেষ করে দিলাম। কারণ রাশেদের বাচ্চা আমার পেটে’- চিরকুট লিখে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে রিতুর লাশ ও সুইসাইড নোটসহ ডায়েরিটি উদ্ধার করে সদর থানা-পুলিশ।

এ ঘটনায় রিতুর মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে প্রেমিক রাশেদসহ ছয়জনকে স্ব-নামে ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

কিন্তু এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

রিতুর মা আকলিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাশেদের জন্যই তার একমাত্র মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট উল্টাপাল্টা করা হয়েছে। এমনকি এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আসামিরা আত্মগোপন করেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তারে কয়েক দফা অভিযান চালানো হয়েছে। প্রধান আসামি রাশেদসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

news24bd.tv তৌহিদ