প্রতারণার ফাঁদে খোদ পুলিশ

প্রতারণার ফাঁদে খোদ পুলিশ

Other

এবার প্রতারণার ফাঁদে খোদ পুলিশ সদস্যরা। ডিআইজি মাসুদ পরিচয়ে পুলিশের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।   ব্রাহ্মবাড়িয়া থেকে এমনি একটি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  

নিজেকে কখনো পুলিশের ডিআইজি মাসুদ বা আইনজীবী পরিচয় দিত জাকির।

থানায় ফোন করে, কনস্টেবল বা এসাই দের নম্বর নিত সে। এরপর তার ফোন নম্বরটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে বলে পরিবারের নম্বর নিয়ে, তাগের টার্গেট ব্যাক্তিকে কৌশলে একটি গোপন নম্বর টাইপ করিয়ে নিজ নম্বরে তাদের কল ডইভার্ট করত।

এরপর পরিবারকে সেই ব্যাক্তির সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি। যার শিকার হন নড়াইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর অজিৎ কুমার।

মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিনের সন্তান মুসা মিয়া। ব্রাহ্মবাড়িয়ার মজলিশপুরে ছোট্ট কম্পিউটারের দোকান ছিল তার। করতেন মোবাইলে গান লোডের কাজ। তার প্রতিবেশি ইলিয়াস ও জাকির হোসেনের এমন কর্মকান্ডে বেশ কয়েকবার ঝগড়া হয় তাদের।


শ্রীলংকার সঙ্গে বাংলাদেশের কী কী চুক্তি হলো জেনে নিন

সরকারদলীয়দের জন্য এক ধরনের আইন অন্যদের জন্য ভিন্ন: জিএম কাদের

বায়ু দূষণ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেই

ফেইসবুকে মোদির সফরবিরোধী স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্র আটক


এরপরই জাকির ও ইলিয়াস এক এক করে ৮টি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয় মুসাকে। আর সেই মামলা চালাতে গিয়ে বাড়ি, ঘর, জমি সবই প্রায় বিক্রি করে এখন নি:স্ব মুসা ও তার পরিবার।

প্রতারক জাকির বলছে, ইলিয়াসের কাছেই প্রতারণার এই কাজ শিখেছিল সে। পুলিশের নম্বর যোগার করা সহজ হওয়ায় প্রতারণার জন্য পুলিশকেই বেছে নিত তারা। আর এসব মামলায় মুসাকে কোন কারণ ছাড়াই তারা ফাঁসাতো বলেও জানায় সে।

তবে পুলিশ বলছে, মুসাকে দলনেতা পরিচয়ে ফাঁসানো ছিল তাদের সাজা কমানোর একটি কৌশল। প্রতারক জাকিরের বিরুদ্ধে, এরই মধ্যে গাইবান্ধা, কুমিল্লা, ব্রাহ্মবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণা, মাদক ও অস্ত্র আইনে করা ৯টি মামলার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
news24bd.tv আয়শা