বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ইমরান হাশমি সিনেমার পর্দায় থাকা মানেই চুম্বন দৃশ্য থাকবেই। তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ভক্তরা 'সিরিয়াল কিসার' হিসেবেই চেনে। 'আশিক বানায়া আপনে' সিনেমায় তনুশ্রী দত্তের সঙ্গে তার রসায়ন বেশ নজর কাড়ে সিনে প্রেমীদের। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় ক্যামেরায় যা করেন তা কি ঘরের স্ত্রী মেনে নেন ইমরানের? এরখম হাজারো প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয় ইমরানকে।

ইমরান হাশমির স্ত্রী পারভিন কারও সাথে ইমরানের  ঘনিষ্ঠ দৃশ্য মেনে নিতে পারতেন না।

ইমরান বলে, আসলে বিপত্তি বাধে ‘মার্ডার’ ছবির প্রিমিয়ারে। ‘মার্ডার’ এর প্রিমিয়ারে স্বামীর ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখে চমকে যান পারভিন। এরখম কোনও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকে দেখতে হবে সেরখম মানসিক প্রস্তুতিও ছিলো না তার। এরপরই  স্ত্রী পারভিন জানতে চান ইমরানের কাছে, এগুলো কী করছ তুমি? এটা আর যাই হোক, বলিউডের ধাঁচ নয়। এসব কথা বলতে বলতে ইমরানের হাত খামচে ধরেছিলেন তিনি। এতে রক্ত বেরিয়ে গিয়েছিল অভিনেতার হাত থেকে। নখের দাগও বসে গিয়েছিল, যা অনেক দিন পর্যন্ত দৃশ্যমান ছিল।

‘চুম্বন বা অন্তরঙ্গ দৃশ্যয়নের আগে একান্তে সময় কাটাই’

ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করলো ভাসুর!

তিন বছর বলতে পারিনি ডিভোর্স হয়েছে : বাঁধন

চুম্বনের দৃশ্যের আগে ফালতু কথা বলতো ইমরান : বিদ্যা

এরপরই ঘরের লক্ষীকে খুশি করার বুদ্ধি বের করেন ইমরান। পর্দায় অন্য নায়িকাকে চুমু খাওয়া বা ঘনিষ্ঠ হওয়া, স্বামীকে সেভাবে দেখতে যখন অসুবিধা পারভিনের, তখন স্ত্রীকে শপিং করাতে নিয়ে যেতেন। পছন্দ মতো পোশাক কিনে দিতেন। সেই থেকে নতুন সমীকরণে চলছে জীবন।

এদিকে চুম্বনের দৃশ্য নিয়ে ইমরান বলেন, কোনো চুম্বন অথবা অন্তরঙ্গ নাচের দৃশ্য শুট করার আগে আমরা একে অপরের (নায়ক-নায়িকা) সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাই। আর আমরা প্রচুর কথা বলি। যখন দুজনের মনে হয় এই দৃশ্যের জন্য আমরা মানসিকভাবে পুরোপুরি প্রস্তুত, তখন সেই দৃশ্যটা করি। ছবির নায়িকার যদি কোনো বিষয়ে অস্বস্তি বা আপত্তি থাকে, তাহলে আমরা সেই দৃশ্য শুট করি না।