আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন এম. জাহিদ হাসান

আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন এম. জাহিদ হাসান

অনলাইন ডেস্ক

আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এম. জাহিদ হাসান। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি (DOE) তাদের জাতীয়, অর্থনীতি ও শক্তি বিষয়ে অসাধারণ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। গত ১২ জানুয়ারি মার্কিন শক্তি বিষয়ক সচিব ড্যান ব্রাউলেতি পুরস্কারপ্রাপ্ত ৮ জনের নাম ঘোষণা করেন।  

এম জাহিদ হাসান নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন 'আর্নেস্ট লরেন্স আমার নায়কদের একজন।

তাই এই স্বীকৃতি পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। তাঁর আবিষ্কৃত সাইক্লোট্রনই বর্তমান উচ্চশক্তির ত্বরক প্রযুক্তির পথ দেখিয়েছে। কোয়ান্টাম পদার্থের টপোলজিক্যাল অবস্থা নিয়ে গবেষণায় আমি নিজেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করি। এছাড়া লরেন্স বার্কলি ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি ও এসএলএসসি ন্যাশনাল অ্যাক্সিলেটর ল্যাবরেটরির প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।
তারা আমার গবেষণায় অনেক সাহায্য করেছে। '

জাহিদ হাসান মূলত কনডেন্সড ম্যাটার অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল সায়েন্সেস, অর্থাৎ ঘনপদার্থ ও বস্তু সংক্রান্ত বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার জন্য এই পুরষ্কার পেয়েছেন। পদার্থবিজ্ঞানের এই শাখাটি বিভিন্ন ঘন পদার্থের ধর্ম, যেমন অতিপরিবাহিতা, অর্ধপরিবাহিতা এবং পদার্থের ভৌতধর্ম, পদার্থের দশান্তর ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে।

পুরস্কার ঘোষণার সময় বলা হয়, 'জাহিদ হাসান স্পিন-অ্যাঙ্গেল-রিজলভড ফটোএমিশন স্পেকট্রোস্কোপি ব্যবহার করে যেসব এক্সপেরিমেন্ট করেছেন, সেটাই পদার্থের নতুন দশা এবং নতুন ধরনের ফার্মিয়নিক কোয়াসিকণা আবিষ্কারকে ত্বরান্বিত করেছে। '


কঠোর নিয়ন্ত্রণ কৌশলে সরকার, হবে না ছুটি বা লকডাউন

ইতিহাস গড়ার ম্যাচে আলো ছড়ালেন মেসি

১২ দেশ থেকে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল পাকিস্তান

‘বিয়ের আশ্বাস পেয়ে’ স্বামীকে তালাক, চার বছর ধরে চলে ধর্ষণ


জাহিদ হাসানের এই গবেষণা ঘনপদার্থ বিজ্ঞানে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের গবেষণার ৮৫ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে।

ধরা দিয়েছে ভাইল ফার্মিয়ন। এক ধরনের যৌগিক কেলাসে এই কণার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আসলে, এটি শুধু কেলাসেই পাওয়া যায়। এই আবিষ্কার মুঠোফোন, কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক সামগ্রীর গতি বাড়াবে, হবে শক্তিসাশ্রয়ী।

১৯৫৯ সালে আর্নেস্ট অরল্যান্ডো লরেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তিত হয়। বিজ্ঞানী আর্নেস্ট লরেন্সের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেওয়া হয় এই পুরষ্কার। তিনি সাইক্লোট্রন আবিষ্কার করেন। এটি এক ধরনের কণা ত্বরক যন্ত্র। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৩৯ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।

পুরস্কারের ঘোষণায় নিজের অনুভূতি জানিয়ে জাহিদ হাসান বলেন, “লরেন্সের সাইক্লোট্রন উদ্ভাবনের ফলে আধুনিক উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন প্রযুক্তি সম্মুখে ধাবিত যা আমি আমার গবেষণায় কোয়ান্টাম পদার্থের টপোলজিকাল অবস্থাগুলো অনুসন্ধান করতে ব্যবহার করি। ‘লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি’ এবং ‘এসএলএসি ন্যাশনাল এক্সিলারেটর ল্যাবরেটরির’ কাছে আমার এ কৃতিত্বের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ”

ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নেন ঢাকার সন্তান জাহিদ হাসান। ২০০২ সালে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট করেন। আমেরিকান বিজ্ঞানী হিসেবে কয়েক বছর আগে তিনি ‘ওয়েল সেমিমেটাল’ আবিষ্কারের জন্য সম্মাননা পান।

news24bd.tv আয়শা