অনলাইন হেইট স্পিচ এবং রেসিজিম কানাডার জন্য একটি সমস্যা

শওগাত আলী সাগর

অনলাইন হেইট স্পিচ এবং রেসিজিম কানাডার জন্য একটি সমস্যা

Other

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘হেইট স্পিচ’ বন্ধে ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর সরকারের খবরদারি বাড়ানোর উদ্যোগকে অধিকাংশ কানাডিয়ানই সমর্থন করছেন।

তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাড়তি ‘পুলিশিং’ বা নজরদারি নাগরিকদের মত  প্রকাশের স্বাধীনতাকে কিভাবে প্রভাবিত করবে- সেই প্রশ্নে সিংহভাগ কানাডিয়ান বিভক্ত মত প্রকাশ করেছেন।  

দ্যা কেনেডিয়ান এন্টি হেইট নেটওয়ার্ক নামে একটি সংস্থা কর্তৃক জরিপে দেখা যায়, ৭৩ শতাংশ কানাডিয়ান বিশ্বাস করেন অনলাইন হেইট স্পিচ এবং রেসিজিম কানাডার জন্য একটি সমস্যা। বৃহত্তর সংখ্যাগরিষ্ট অংশ ৭০ থেকে ৭৯ শতাংশ নাগরিক এই বিষয়ে ফেডারেল সরকারের হাতে কঠোর নজরদারির ক্ষমতা দেয়ার পক্ষে।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খবরদারি করতে ৭৯ শতাংশ অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যের জন্য বক্তব্য প্রদানকারীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে প্রচলিত আইনকে আরো শক্তিশালী করতে বলেছেন।  

৭৩ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে মনিটরিং এর আওতায় রাখতে স্বাধীন একটি সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। যে কোনো হেইটফুল স্পিচ সরিয়ে নিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বাধ্য করার ব্যবস্থার কথা বলেছেন ৭৩ শতাংশ।  

৫১ শতাংশ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে যে কোনো ধরনের হেইট স্পিচ  সরিয়ে ফেলতে বাধ্য করার বিধান মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেবে।

কেননা, হেইট স্পিচ আসলে ভোক্তভোগীর মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে।  

তবে ৩৯ শতাংশ বলেছেন, কোনো বক্তব্য সরিয়ে ফেলার বাধ্যবাধকতার বিধান মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাহত করবে।


করোনায় দেশে আরও ৩০ জনের মৃত্যু

সাংবাদিক আতিকউল্লাহ খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি- প্রধানমন্ত্রীর শোক

ইসরাইলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে: জরিপ

হঠাৎ দেশে ফিরছেন সাকিব


জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার খুব শিগগিরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেইট স্পিচ, রেসিজম এবং বেআইনি বক্তব্য শেয়ার করার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আইন করতে যাচ্ছে। তার আগে বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত এই জনমত জরিপ থেকে নাগরিকদের মনোভাব সম্পর্কে ধারনা পাওয়া গেলো।

শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ

news24bd.tv নাজিম