আমার এক কলিগ একবার জিজ্ঞেস করলো, তোমাদের দেশের মানুষের কমন স্কিল কী? আমি একটু ভাবলাম। তারপর বললাম কমন স্কিল হলো মশা মারতে পারা। সে প্রথমে ভাবলো ফান করছি। আর ইউ কিডিং মি? নো, আই এম সিরিয়াস! ডু ইউ নিড এ স্পেশাল স্কিল ফর দ্যাট? বললাম, অবশ্যই।
তুমি হাতে মশা মারতে পারবা? আমি মশার পেছনে দৌঁড়ে দৌঁড়ে মারতে পারবো। এক হাতের মুষ্টিতে মশা কে ধরতে পারবো। তারপর মরে গেছে ভেবে মুষ্টি খুলতেই যদি মশা উড়ে যায় তাহলে আবার দৌঁড়ে মারতে পারবো।
বাঙালী গড়ে তার জীবদ্দশায় এক সপ্তাহ সময় ব্যায় করে মশা মারার পেছনে।
বিশ্বে যদি মশা মারার প্রতিযোগিতা থাকতো তাহলে আমরা সোনা অর্জন করতে পারতাম। নির্ঘাত! আমাদের দেশের মানুষ, সিটি কর্পোরেশনের কাজ করে দেয়।
ফিটনেস ইস্যু নিয়ে মিথ্যাচার করেছে বিসিবি: মাশরাফি
আইসিইউ থেকে কাজী হায়াতের ভিডিও বার্তা (ভিডিও)
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, শুরুতেই শূন্য রানে লিটনের বিদায়
মশা নিয়ে বাঙালী বিখ্যাত ছড়াকার অন্নদাশঙ্কর রায় ছড়া লিখেছেন। মশার যন্ত্রনায় মশারী টানানো এবং মশারী টানানো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া—আর কোথায় আছে?
মশা নিয়েও রাজনীতি। মশার উৎপাত নিয়ে বেশি বললেও জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মশার উৎপাতে ডেঙ্গু হয়ে মারা গেলেও সেটা নিয়ে বলা যাবে না। —কারণ এসব গুজব। সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র।
আমরা জাতীয়ভাবে মশক নিধন সপ্তাহ পালন করি। সারা দেশে মশা নিধন করতে গিয়ে আমাদের সরকারী অফিসাররা ফেইসবুকে কতো চমেৎকার ছবি পোস্ট করে।
বাঙালী যদি কোনদিন মশাকে খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করে, তাহলেই হয়তো মশামুক্ত দেশ গড়া যাবে। তা না হলে করোনার হাত থেকে মুক্তি পাবে, কিন্তু মশার হাত থেকে মুক্তি পাবে না।
সারা জীবন মশার কামড় খাইলো বাঙালী আর ব্রিটিশ বিজ্ঞানী সেই মশার উপর গবেষণা করে নোবেল পুরস্কার পেলো। স্যার রোনাল্ড রস—ম্যালেরিয়ার জীবানুচক্র উদ্ভঘাটন করেছিলেন। এটা কী মানা যায়?
news24bd.tv আয়শা