তুমি হয়তো ক্ষতি দেখছো না

তুমি হয়তো ক্ষতি দেখছো না

Other

তুমি হয়তো ক্ষতি দেখছো না, কিন্তু আমরা এখানে দেখছি। সকাল থেকে এই লাইন দুটো আমার মাথায় কেবলি ঘুরছে । এই লাইন দুটো খুঁজে পেয়েছি ইউটিউবের একটি ছোট অ্যাডে। কানাডার অন্টারিও সরকার এই প্রচারণামূলক ভিডিওটি বানিয়েছে।

এতে প্রথমে একটি ঘরোয়া পার্টি দেখা গেলো, যেখানে বেশ কয়েকজন তরুন তরুনি বেশ ভালো আনন্দে খাচ্ছে-দাচ্ছে আনন্দ করছে। সেই দারুণ মুহুর্তে প্রথম বাক্যটি লেখা আছে দেখতে পেলাম, তুমি হয়তো কোনো ক্ষতি দেখছো না। পরের দৃশ্যে দেখা গেলো অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে একজন বৃদ্ধকে হাসপাতালের বয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে পেলাম দ্বিতীয় বাক্য, আমরা এখানে ক্ষতি দেখতে পাচ্ছি।
সত্যি একটু অসাবধানতা এখন প্রিয়জনের জন্য এমনকী মৃত্যুও টেনে আনছে। আর সে মৃত্যু কতো কঠিন তার বর্ণনা গত বছর আমরা ইতালির চিকিৎসকদের বরাতে পড়েছি। অল্প একটু বাতাসের জন্য তড়পাতে তড়পাতে সবকিছু শেষ করে দিয়ে বিদায় নিচ্ছে অনেকে। তারপরো যারা সচেতন হওয়ার তারা হয়েছে, যারা না হওয়ার তারা হয়নি। এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, যারা সচেতন হয়েছে তারা সংখ্যায় কতো?
 
গত বছর এ সময়টা অনেক আতঙ্কের ছিলো। কারণ আমরা তখন ঠিকমতো জানতাম না, করোনা ভাইরাস ঠিক কীভাবে ছড়ায়। ফলে, প্রাথমিকভাবে অন্যান্য ভাইরাস যেভাবে ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হতো। তখন অনেকে রোগীকে ধরতে ভয় পেতেন। এমনকী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে, পিতা-মাতার মরদেহের কাছে অনেক সন্তান যাননি। যে বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রোগী পা্ওয়া যেতো সেখানে লাল পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হতো। সময়টা এমনই ভয়েরই ছিলো।

এ থেকে বাঁচার জন্য সাধারণ ছুটির নামে লকডাউন ঘোষণা  করা হয়। অনেকে নতুন করে সাহায্যের আশায় পথে নামে। হঠাৎ করে অনেকে গরীব হয়ে যায়। আশার কথা এসব কিছু পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আবারো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া বেড়ে গেছে বলেই আমাদের কাছে খবর এসেছে। সরকার পাঁচটি হাসপাতাল প্রস্তুত করছে। আইসিইউতে সিট খালি নেই বলে নিউজ হচ্ছে। এমনকী লকডাউন বা সাধারণ ছুটি প্রসঙ্গও এখন উচ্চারিত হচ্ছে।  


প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা: বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১৪ জনের ফাঁসি

বিসিএস পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি না দেয়ায় এসআই হাসানের আত্মহত্যা!

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সৎ মেয়ের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারী, স্বামীর ‘বিশেষ অঙ্গ’ কাটলেন স্ত্রী


করোনা ভাইরাস দেশ থেকে দূর হয়নি, এটা আমাদের বাস্তবতা। বলা যায়, এটা পুরো বিশ্বেরই বাস্তবতা। এই বাস্তবতায় কোন দেশ কতোটা ভালো থাকছে, নিজেদের নাগরিকদের কে কতোটা ভালো রাখতে পারছে, সেটাই এখন মূল মনযোগের বিষয়।  

একটা কথা পরিষ্কার করে বলা যায়, গত বছর আর এই বছর এক নয়। এখন আমরা জানি, কীভাবে করোনা ভাইরাস ছড়ায়। ফলে, মাস্ক পরে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে করোনা ভাইরাসকে ঠেকিয়ে দেওয়ার বিদ্যা এখন আমাদের মুখস্ত। ফলে, শিক্ষিত সচেতন মানুষের জন্য এই ভাইরাস থেকে বেঁচে থাকার বিদ্যা আয়ত্বে আছে। এখন প্রশ্ন শিক্ষিত সচেতন সবাই কী মাস্ক পরছে? সবাই কী শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছে? 
এটা ঠিক, দেশের মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে হবে। উৎপাদনও ঠিক রাখতে হবে। তবে এসব কিছু যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হয় তবে তা ভালো।

কিন্তু আমরা কী নিজেদের করোনার আক্রমন থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারছি?  আপনি একা সচেতন হলেই সব হয়ে গেলো, তা নয়। আপনার আশপাশে যারা আছে তাদেরকেও সচতেন করতে হবে।  
   
আসুন আমরা সচেতন হই, দিনে অন্তত একজনকে সচেতন হতে আগ্রহী করি।  

আনোয়ার সাদী: সিনিয়র নিউজ এডিটর, নিউজ টোয়েন্টিফোর।

news24bd.tv/আলী