রাঙামাটিতে বাঁশের সেতুতে ৬০বছর

রাঙামাটিতে বাঁশের সেতুতে ৬০বছর

Other

রাঙামাটির আসামবস্তীর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা। শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা হলেও একটি ব্রীজের কারণে বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপের বাসিন্দারা। তাই দীর্ঘ ৬০বছর ধরে চলাচলে জন্য কাপ্তাই হ্রদের উপর একটি ব্রীজের দাবি জানিয়ে আসছে তারা।

কিন্তু এরপরও রাঙামাটির বিভিন্ন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ব্রীজ তৈরিতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

তাই বাধ্য হয়ে দীর্ঘ বছর ধরে নিজেদের উদ্যোগে তৈরি বাঁশের সাঁকোতে চলছে জীবন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শহরের খুব কাছে আসামবস্তী পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা হলে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ও সুবিধা বঞ্চিত এ এলাকার
বাসিন্দারা। ব্রীজের অভাবে ভোগান্তি বেড়েছে দ্বিগুণ। রাতের বেলায়ও ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সেতু দিয়ে পাড়াপাড় করতে হয় এ এলাকার মানুষদের।

সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি বৃদ্ধ, শিশু ও নারীদের। অনেক শিশু এ বাঁশের সেতু পারাপার হতে গিয়ে পড়েছে কাপ্তাই হ্রদের পানিতে।


ওরা খেলার আগে বলে এটা করবে, সেটা করবে: বিসিবি সভাপতি

বিরাটনগর – সৈয়দপুর সরাসরি ফ্লাইট চায় নেপাল

ধান ক্ষেতে ফেলে গৃহবধূকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল

কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ৬০ টাকা ধরিয়ে দিল অভিযুক্তরা


এমন ঘটনা নিত্যনতুন। স্থানীয়দের উদ্যোগে তৈরি সেতুটি দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট। কিন্তু অনেকটা নড়বড়ে। তাই এক বা দু’জন ছাড়া পারাপার করা যায় না এ সেতু দিয়ে। প্রতি বছর এ বাঁশের সেতুর পেছনে খরচ হয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। স্থানীয়রা নিজেদের টাকা দিয়ে সংস্কার করে সেতু।

স্থানীয় সন্তোষ কুমার দে ও মো. নুরুল ইসলাম জানান, রাঙামাটি শহরে উন্নয়ন ও আধুনিক হলেও আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি আসামবস্তীর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়। এখানো একটির ব্রীজের অভাবে সুবিধা বঞ্চিত এলাকার মানুষ। বর্ষা আসলে ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ছোট বড় সব বয়সের মানুষকে। কিন্তু তবুও একটি ব্রীজ তৈরিতে কেউ এগিয়ে আসছে না।

স্থায়ী বাসিন্দা রাবেয়া বেগম (৬৫) বলেন, আমি কোনো সময় এই সাঁকো দিয়ে দাঁড়িয়ে হেঁটে যেতে পারি নাই। ভয়ে সব সময় বসে
বসে পার হই। এতে অনেকক্ষণ সময় লাগে। আর নিচের দিকে তাকালে মনে হয় পড়ে যাচ্ছি। তখন গা হাত কাঁপতে থাকে।

বাবুল শুক্লা দাশ জানান, এলাকায় রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা গর্ভবতীদের নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। আর সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীকে ঝুঁকি নিয়ে সেতু পাড় হতে হয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ঝুঁকির সঙ্গে পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। তাই এখানে একটি ব্রীজের দাবি আমাদের দীর্ঘ দিনের।

রাঙামাটি পৌরসভার কাউন্সিলর পুলক দে জানান, ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা শুনেছি। সরেজমিনে দেখতে হবে। দুর্ভোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

news24bd.tv তৌহিদ