স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাষ্ট্রের অর্জন বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: কাদের

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাষ্ট্রের অর্জন বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে রাষ্ট্রের অর্জন বিএনপির সহ্য হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অব্যাহত উন্নয়ন যাত্রা এখন বিএনপির গাত্রদাহ।  

আজ সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা শহরে পাতাল রেল ( সাবওয়ে) নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি এতে যুক্ত হন।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ ঢাকাসহ সারাদেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ কি বিএনপি দেখতে পায় না?  তারা নিজেরা জনবিচ্ছিন্ন বলেই জনসম্পৃক্ততা দেখতে পায় না।  

তিনি বলেন, এদেশের সাধারণ মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমেই উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন, অর্জন যেমন বিএনপি দেখতে পায় না তেমনি দেখতে পায় না নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তাদেরকে জনগণের প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি। সাম্প্রতিক পৌরসভা নির্বাচন এবং বিভিন্ন উপনির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে।

 

পাতাল রেল নির্মাণের প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, নগরবাসীর অসহনীয় দুর্ভোগ এবং যানজট মুক্ত রাখতেই সরকার পাতাল রেল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পাতাল রেল নির্মাণের লক্ষ্যে স্পেনের টিপসার নেতৃত্বে যৌথভাবে জাপানের পেডিকো, বিসিএল এসোসিয়েটস, কেএসসি এবং বেটসকে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাতাল রেল নেটওয়ার্কের জন্য প্রাথমিক ভাবে ১১টি রুটের এলাইনমেন্ট প্রস্তাব করে। যার মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৪টি রুট প্রাথমিক ডিজাইন কাজের অন্তর্ভুক্ত।

রুট ৪টি হলো-ঝিলমিল থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার, শাহকবির মাজার রোড হতে সদরঘাট পর্যন্ত প্রায় ২৩ কিলোমিটার, কেরানীগঞ্জ হতে সোনাপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৪৮ কিলোমিটার।  

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আশা করেন, এই প্রকল্পটি নির্মাণের ফলে ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ লক্ষ কর্মজীবী মানুষের মধ্যে ৪০ লাখ মানুষ মাটির নিচে স্থানান্তর হবে এবং মাটির উপরিভাগ যানজট ও জনজট মুক্ত হবে।

দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্প স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে রেলওয়ে এবং সড়কপথের স্ল্যাব বসানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত মূল সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯২ দশমিক ৫০ ভাগ, নদীশাসন কাজ শতকরা ৮০ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৪ দশমিক ৫০ ভাগ।

মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ শেষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ইতিমধ্যেই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি টিউবের রিং প্রতিস্থাপনসহ বোরিং কাজ শেষ হয়েছে এবং এরই মধ্যে টিউবটির ২০০ মিটার রোড স্ল্যাব নির্মাণকাজ সম্পন্ন। দ্বিতীয় টিউবটির ৭০০ মিটার বোরিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত টানেলের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৬৫ ভাগ।


রাত ৮টার মধ্যে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ

সুয়েজ খালে জাহাজ আটকে তীব্র যানজট

অনুশীলনে হাজির সাকিব আল হাসান

সুয়েজ খালে জাহাজ আটকে তীব্র যানজট


এছাড়াও সেতু বিভাগের অধীনে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো হলো মেট্রোরেল,  এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে,বিআরটি'র এবং ঢাকা -আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প।  

ঢাকা শহরে পাতাল রেল (সাবওয়ে) নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শীর্ষক সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সেতু সচিব মোঃ বেলায়েত হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

news24bd.tv নাজিম