বাংলাদেশের বিজ্ঞান শিক্ষার ভিত দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের স্কুলগুলোতে বিজ্ঞানের ভালো শিক্ষক নেই। ল্যাবরেটরি নেই। যন্ত্রপাতি নেই।
কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও সেগুলো বাক্স বন্দি হয়ে নষ্ট হচ্ছে। গ্রামের স্কুলের বেশিরভাগ ছেলে-মেয়ে আর্টস এবং কমার্সের বিষয় নিয়ে পড়ছে।যেসব ছেলে-মেয়েরা বিজ্ঞান পড়ছে, তাদের সিংহভাগ আখেরে বিসিএস নিয়ে ব্যস্ত। আর অন্যরা বিদেশমুখী।
বাংলাদেশের বিজ্ঞান শিক্ষার ভবিষ্যত ভিত কতটুকু দুর্বল হবে, বুঝতে পারছেন? বিদেশ পাড়ি দেয়া ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থী হলো সাইন্সের স্টুডেন্ট। এবং এইসব স্টুডেন্টরা যখন গবেষণায় দক্ষতা অর্জন করছে, তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার কোন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগই নেই। কোন ব্যবস্থাপনাই নেই। বরং কেউ কেউ ফিরে গিয়ে শিক্ষক হতে চাইলে, তাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয় না। —কতো লাঞ্ছনা আর বঞ্চনার কথা উঠে আসে খবরে।
গাইবান্ধায় বোমা বানাতে গিয়ে নিহত ৩
লকডাউন বা ছুটি নিয়ে যা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগুনে পুড়ে স্ত্রীর পর মারা গেলেন স্বামীও
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না আগামী ৩০ মার্চ : মাউশি সচিব
শিক্ষকদের গবেষণার জন্য নাম মাত্র টাকা দেয়া হয়। অথচ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের বাজেটে কমতি পড়ে না। গিনিস রেকর্ডে নাম লেখানোর জন্য অর্থের অভাব হয় না। সেসব রেকর্ড দুনিয়ার কেউ কোনদিন খবরও রাখে না।
দেশের বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাচেলর করেই “বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা” হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোনদিন গবেষণা না করেই আপনি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা! অথচ গবেষণায় দক্ষ ছেলে-মেয়েদেরকে তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে সরাসরি প্রিন্সিপল সাইন্টিস্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া যেতো! তাদেরকে দিয়ে ক্রমাগতভাবে মৌলিক গবেষণার ভিতকে শক্ত করা যেতো!
দেশের সিংহভাগ সাইন্স স্টুডেন্ট দেশ ছাড়ছে, অথচ আমরা বিজ্ঞান ভিত্তিক সমাজের স্বপ্ন দেখছি! What a pity!
রউফুল আলম, নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র।
news24bd.tv আয়শা