অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে শ্রীপুরের দুটি বধ্যভূমি

Other

বছরজুড়েই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের দুটি বধ্যভূমি। একটি ছেয়ে আছে ঝোপঝাড়ে, অন্যটিতে পোকামাকড়ের ঘর বসতি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের প্রাক্কালেও গেটবিহীন তিন ফিট সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা বধ্যভূমিতে নেই কোনো স্মৃতিফলক।  

বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবসে বধ্যভূমিগুলো পরিষ্কার করা হলেও, অন্য সময় খবর নেয় না কেউ।

স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের আবেদন করা হলেও প্রশাসনের সাড়া নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্য, গাজীপুরের শ্রীপুর ছিল পাক হানাদারদের প্রধান ঘাঁটি। স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় নিরীহ নারী-পুরুষ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ধরে এনে ক্যাম্পে বর্বর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করত হানাদার বাহিনী। অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের হত্যার পর বিভিন্ন স্থানে কবর দেওয়া হতো তাদের।

উপজেলার বরমীর সাতখামাইর থেকে জৈনা যাওয়ার আঞ্চলিক সড়কের পাশে এ বধ্যভূমির নতুন ফটকের কাজ শুরু হলেও অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সাতখামাইর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম উদ্দিন আকন্দ জানান, মোট ১৭ জনকে নির্যাতনের পর একে একে বেঁধে এনে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে সাতখামাইরে গণকবর দেয়া হয় এখানে।

সেকসন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়ার উদ্দিন বলেন, শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজ মাঠের একপাশে ১২ জন শহীদের গণকবর রয়েছে।  


আমি অনেক ক্লান্ত : থানা থেকে বের হয়ে ‍‘শিশুবক্তা’ (ভিডিও)

'শিশু বক্তা' দীর্ঘদিন ধরেই গ্রেপ্তার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন

শাপলাচত্বর থেকে প্রিজনভ্যানে ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলাম

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত ৩ হাজার ৫৮৭


শ্রীপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন জানান, '১৯৭১ সালের আগস্টে এক রাতে ১০ থেকে ১৫ জনের পাক হানাদার বাহিনীর দলকে এক যুবককে নির্যাতন করতে করতে হত্যা করতে দেখেছিলেন তিনি।

সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিরাজুল বলেন, রাজকারদের সহযোগিতা ও হানাদারদের নৃশংসতায় যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রয়োজন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান বলেন, শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজ মাঠের একপাশে তার উদ্যোগে উদ্যোগে নেয়া হয়েছে শহীদের গণকবর সংরক্ষণের পদক্ষেপ।

news24bd.tv / কামরুল