নওগাঁয় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় লিখিত অভিযোগ

নওগাঁয় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় লিখিত অভিযোগ

Other

নওগাঁ ও তার পার্শ্ববর্তী বগুড়ার সান্তাহারে অনুমোদনহীন ব্যবসায়িক সমিতির আড়ালে চলছে উচ্চ হারের সুদের রমরমা ব্যবসা। এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দাদন ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন ও তার সহযোগি জালাল উদ্দিন সাংবাদিক নেহাল আহমেদ প্রান্তকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় প্রান্ত বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহার পৌর শহরের নিচ পোঁওতা গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে নাজমুল হোসেন সান্তাহার পৌরসভা থেকে অর্থের বিনিময়ে তামিম সঞ্চয় ও ঋণদান প্রতিষ্ঠান নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে।

এরপর পৌরসভা থেকে দেওয়া অবৈধ লাইসেন্স দিয়ে আকর্ষনীয় বই ছাপিয়ে ট্রেড সনদের নাম ব্যবহার না করে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক সমিতি নাম দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চহারের সুদের কারবার চালিয়ে আসছেন। যে নামটি ট্রেড লাইসেন্সে ব্যবহার করা হয়েছে আসলে এ নামে পৌর শহরের কোথায়ও কোন প্রতিষ্ঠান নেই।
এছাড়াও শূন্য সংখ্যা দিয়ে কোন হিসাব নম্বর শুরু করার নিয়ম না থাকলেও সদস্যর কাছে তার সরবরাহ করা কয়েকটি হিসাব বইয়ে শূন্য দিয়ে হিসাব নম্বর শুরু করা হয়েছে।

নাজমুল প্রতিজন গ্রাহকের কাছ থেকে শতকরা ৩০ টাকা হারে সুদ আদায় করে আসছে।

নাজমুলের এমন ফাঁদে পড়ে অনেক মানুষ সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু সরকার যে কোন ঋণের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল ডিজিটে সুদের হার নির্ধারন করে দিয়েছে।

দীর্ঘ সময় ধরে গনমাধ্যমকর্মীরা এই বিষয়ে তথ্যাদি সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নাজমুল ও তার সহযোগি জালাল উদ্দিন সাংবাদিক প্রান্তের নিচ পোঁওতা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ প্রাণনাশের বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসে।


আরও পড়ুনঃ


'শিশু বক্তা' দীর্ঘদিন ধরেই গ্রেপ্তার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন

সাকিবকে ধন্যবাদ আলোচনাটা শুরু করার জন্য

৫ বছরের শিশুর মা হওয়ার অমীমাংসিত রহস্য

পত্রিকার সাংবাদিকগুলো বিসিএস ক্যাডার চাকরিটাকে বিশাল কিছু বানিয়ে ফেলেছেন


আর সে সময় নাজমুল সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে করে বলেন আমি আমার কারবার চালিয়ে যাবো। দুই টাকার সাংবাদিকরা আমার কি করতে পারে তা দেখবো। এছাড়াও নাজমুল ওইসব সাংবাদিকদের চাকরী খেয়ে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে আজ শুক্রকার সকালে সাংবাদিক নেহাল আহমেদ প্রান্ত বলেন, এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী দায়ের করেছি। আশা রাখি পুলিশ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  

এ বিষয়ে আজ শুক্রকার সকালে আদমদিঘী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দীনের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

news24bd.tv / নকিব