আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখবেন কেন?: রফিকুল

আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখবেন কেন?: রফিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচিত 'শিশুবক্তা' রফিকুল ইসলাম। তাকে সারা দেশে 'শিশুবক্তা' হিসেবে চিনে। গতকাল বৃহস্পতিবার মতিঝিল থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় আসেন 'শিশুবক্তা' রফিকুল ইসলাম। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি আগে থেকেই পরিচিত তিনি।

গতকালে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তার বয়স নিয়ে নতুন আলোচনা উঠেছে।

এ সময় অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে- কে এই শিশুবক্তা। শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি কিন্তু শিশু নন। তবে শিশুবক্তা শব্দটি ব্যবহার হয় বিভিন্ন সময়।

 

রফিকুল ইসলাম রাজধানীর বারিধারায় মাদানী এভিনিউয়ের পাশে অবস্থিত জামিয়া মাদানীয়া বারিধারা মাদ্রাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়েছেন। এছাড়া তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিকদল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহ-সভাপতি।  

এক ওয়াজ মাহফিলে মিজানুর রহমান আজহারির সমালোচনা করে তার প্রকৃত বয়স উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। সেখানে বলেছিলেন, ‘আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখা হয়। আজহারি সাহেবের দ্বারা যদি ইসলামের খেদমত হয় তাহলে আমার কোনো আপত্তি নাই। আজহারি সাহেব ১৯৯২ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন, আর আমি ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছি। এখনো আমাকে শিশুবক্তা বানিয়ে রাখবেন কেন? আমাদের বয়স মাত্র তিন-চার বছরের ব্যবধান। আল্লাহ তাআলা বানাইছে। দেখতে এমন লাগে। আমার করার কিছু আছে? এজন্য আমি শুকরিয়া আদায় করি।  

এছাড়াও মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা না করেও নামের শেষে ‘মাদানী’ উপাধি ব্যবহার করে ওয়াজ মাহফিল করায় আলোচিত শিশুবক্তা রফিকুল ইসলামকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফুল হাসান খান এই নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশদাতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী হলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মদিনা শাখার আমীর ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য।  

নিজের পড়াশোনা নিয়ে বলেন, আমি ছয় বছর বয়স পর্যন্ত বাড়িতে বাংলা ইংরেজি অঙ্ক পড়েছি ও শিখেছি। তারপর ক্লাস সিক্স পর্যন্ত স্কুলে পড়েছি। এরপর মাদ্রাসায় ভর্তি হই। নূরানিতে পড়েছি এক বছর। আল্লাহর রহমতে দুই বছরে হেফজ শেষ করেছি। এখানে তিন বছর, আগের ১২ বছর মোট হলো ১৫ বছর। এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েছি। কেন বলতেছি এগুলা? ইউটিউবে আমার নামে এতো মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। আমি নিজেকে জ্ঞানী মনে করি না।

রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায়। থাকেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরে। তার যেমন বিশাল পরিচিতি রয়েছে, তেমনি সমালোচকও রয়েছে অনেক। এরইমধ্যে গতকাল আটক হয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন রফিকুল ইসলাম।


হাটহাজারীতে পুলিশ-হেফাজত সংঘর্ষে নিহত ৪

ত্রিমুখী সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে আগুন, ঝরে গেল ১৭ প্রাণ

'শিশু বক্তা' দীর্ঘদিন ধরেই গ্রেপ্তার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন

সাকিবকে ধন্যবাদ আলোচনাটা শুরু করার জন্য


news24bd.tv / কামরুল