দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীটির নাম ছিল জেসমিন আক্তার। কণ্ঠস্বর, আচরণ ও শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে এখন সে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। তার নাম রাখা হয়েছে জুবায়েদ মণ্ডল।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
জানা যায়, আদমদীঘি নসরৎপুর ইউপির লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা রেখে বিদেশে চলে যান। জেসমিন আক্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নানা-নানির বাড়ি উপজেলার শাওইলে বসবাস করেন। সেখানে জেসমিন আক্তার বড় হয়।
এদিকে, চার মাস আগে জেসমিন আক্তারের কন্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। ছেলেদের মতো কণ্ঠস্বর হতে থাকে। তারপর থেকে তার আচরণ ছেলেদের মতো হতে থাকে। ৪৫ দিনের মাথায় জেসমিন আক্তারের শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে উৎসুক জনতা তাকে দেখতে বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন।
জেসমিন আক্তার জানায়, করোনার আগে নিয়মিত স্কুলে যেত সে। ছুটিতে থেকে এখন ছেলে জুবায়েদে পরিণত হয়েছে। তার ভাষ্যমতে, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি নামাজ, রোজা ও তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তাম। প্রথমে তেমন কিছু মনে হয়নি। তিন মাস আগে হঠাৎ একদিন আমার গায়ে জ্বর আসে। এরপর থেকে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় লক্ষণগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এখন আমার নাম জুবায়েদ মণ্ডল। এখন আমি পূর্ণাঙ্গ পুরুষ হিসেবে সুস্থ। ’
এ বিষয়ে জেসমিনের বাবা জালাল হোসেন মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, বড় মেয়ে এখন ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম রেখেছি জুবায়েদ মন্ডল। আমি অনেক খুশি হয়েছি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে।
সম্প্রতি ঢাকার শাজাহানপুরে ইসলামী হাসপাতালে ডাক্তার সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদে কাছে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি জুবায়েদ মন্ডলের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, তার শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ পুরুষের হরমোন থাকায় সে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তর হয়েছে। সাধারনত ১৪ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এমনটি হয়ে থাকে।
news24bd.tv তৌহিদ