‘পাহাড়ে বন্যহাতির পথে সাইন বোর্ড’

‘পাহাড়ে বন্যহাতির পথে সাইন বোর্ড’

Other

পাহাড়ে বন্যহাতি চলাচলের পথে সতর্কতা সাইন বোর্ড স্থাপন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ। শনিবার বন বিভাগের কর্মকর্তারা রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ সাইন বোর্ড স্থাপন করেন।

বন বিভাগের তথ্য মতে, রাঙামাটিতে সম্প্রতি বন্যহাতির আক্রমণে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই বছরের পর্যটকসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে শুধু রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায়।

আহত হয়েছে অনেকেই। তাই হাতি চলাচলের সড়ক চিহ্নিত করে সেখানে সতর্কতা সাইন বোর্ড স্থাপন করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, রাঙামাটি কাপ্তাই সড়কের আগর বাগান, শিলছড়ি, ব্যাংছড়ি, শিল্প এলাকা, জীবতলী কামিল্লাছড়ি বর আদম ও নেভি ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থান হাতির চলাচলের উন্নতম স্থান। কিন্তু সড়কের সৌন্দর্য দেখে প্রায় ঘুরতে যায় সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা।

আর হাতির সামনে পড়লেও অনেককে প্রাণ দিতে হয়। তাই মানুষকে সচেতন করতে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগ এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।


কিশোরীকে গণধর্ষণের পর ৬০ টাকা ধরিয়ে দিল অভিযুক্তরা

অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূলে ভয়াবহ বন্যা সতর্কতা

বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠিত করেছে: চীফ হুইপ

ভোটে হেরে স্ত্রীকে তালাক


পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান শাহ জানান, বন্যহাতির আক্রমণে কয়েকটি হতাহতের ঘটনা ঘটায় বিভিন্ন গুরুপূর্ণ পয়েন্টে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সর্তকতামূলক সাইন বোর্ডগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এ সাইন বোর্ড দেখে সর্তকতা ভাবে চলাচল করবে সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান এলাকায় আগামী অর্থ বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ৪ কিলোমিটার সোলার লাইট স্থাপন করা হবে। যাতে পাহাড়ি পথে রাতেও হাতির অবস্থান জানান যায়।

এদিকে কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মহসিন তালুকদার জানান, পাহাড়ি এলাকায় আগের চেয়ে জন সংখ্যা ব্রদ্ধি পেয়েছে। তাই মানুষও হাতির পথে বসতি স্থাপন করছে চলাচল করছে। কিন্তু হাতি যে পথে একবার চলাচল করে, সে পথ ধরে হাতি আজীবন চলাচল করে। হাতির চলাচলে বাধাগ্রস্থ হলে হাতি তান্ডব চালায়। মানুষকে তা বুঝতে হবে। এছাড়া একটি নিদিষ্ট সময় বের হয়। সে সময় সর্ম্পকে মানুষকে বার বার অবগত করা হয়েছে। কিন্তু তবুও মানুষ সে সময় হাতের পথে যায়। আর  বিপদে পড়ে। বিশেষ করে সকাল ৯টার পূর্বে এবং বিকাল ৫টার পর কাপ্তাই-আসামবস্তী এবং নৌ বাহিনীর সড়কে চলাচল না করার জন্য বার
বার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, পার্বত্যঞ্চলের জুম চাষের নামে নিরবে উজার করা হচ্ছে বন ও বনজ সম্পদ। এতে বৃক্ষ নিধনের ফলে সংকট সৃষ্টি হয়েছে হাতির খাবারে। বনের পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় লোকালয়ে খাদ্যের সন্ধ্যানে আসে বন্যহাতির দল। এসময় মানুষের বসতবাড়িসহ ফসলে হামলা চালিয়ে ক্ষতি করে।

news24bd.tv তৌহিদ