আপনাদের জানিয়ে রাখি উত্তর কোরিয়ায় মানুষরা ধর্ম পালন করতে পারে না। সেই দেশে ধর্ম পালন নিষিদ্ধ। তবে সেখানে একজন ‘গড’ আছেন।
সেই গড এবং তার পরিবারের মানুষজনের মূর্তির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় স্পীড স্লো করা বাধ্যতামূলক এবং মূর্তি'র দিকে তাকিয়ে শ্রদ্ধা করা করাও বাধ্যতামূলক।
এমনকি বিদেশি নাগরিকদের জন্যও সেটা বাধ্যতামূলক।সেখানে কেউ বিনা অনুমতিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না। এমনকি কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে না বিনা অনুমতিতে।
আমি উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছি।
প্রতিদিন সকালে এক'ই রকম সাইরেন বাজে। সেই সাইরেন মানুষজনকে জানিয়ে দেয়- সকাল হয়েছে। এখন কাজের সময়।
সেই দেশের প্রেসিডেন্ট'কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো
- তুমি কি মনে করো তোমার দেশের মানুষ হ্যাপি?
উত্তরে সে বলেছে
- আমি তো মনে করি আমার দেশের মানুষ পৃথিবীর সব চাইতে বেশি সুখি। তোমরা গিয়ে মানুষকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারো।
এরপর সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছে
- তোমরা কি সুখি?
প্রতিটা মানুষ ৩২ দাঁত বের করে হেসে হেসে বলেছে- আমরা অনেক হ্যাপি!
আপনাদের জানিয়ে রাখি- উত্তর কোরিয়ায় বিদেশিদের সামনে হেসে কথা বলা এবং নিজেকে হ্যাপি দাবি করাও বাধ্যতামূলক।
ও বলতে তো ভুলেই গিয়েছি- কোনো উত্তর কোরিয়ার নাগরিকের সাথে কথা বলতে হলে; সাথে একজন সরকারি লোক থাকতেই হবে। নইলে আপনি কথা বলারই সুযোগ পাবেন না!
আমিনুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, অস্ট্রিয়া। (ফেসবুক থেকে)
news24bd.tv তৌহিদ