শীতকালেও পানির তাপামাত্রার সঙ্গে মানিয়ে চলে গাছ

শীতকালেও পানির তাপামাত্রার সঙ্গে মানিয়ে চলে গাছ

অনলাইন ডেস্ক

শীতকালেও পানি গাছপালার জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এটা হতে পারে ‘ডেন্সিটি অ্যানোমালি’ বৈশিষ্ট্যর জন্য। পানি ঠান্ডা হলেও এর ভর কমে যায়। এক্ষেত্রে তাপমাত্রার পার্থক্য সর্বোচ্চ মাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে।

তাপমাত্রা যদি আরো কমে যায় তাহলে পানি আবার সম্প্রসারিত হয়। জমে গেলে পানির ভর আরো বেড়ে নয় শতাংশ হবে।  

অণুগুলি স্ফটিকের কাঠামো ধারণ করে বলে এমনটা ঘটে। তরল পানির তুলনায় সেটির আরও জায়গার প্রয়োজন হয়।

সেই অবস্থার মোকাবিলা করতে গাছপালা একটি কৌশল কাজে লাগায়। পানির দ্রবীভূত হবার ক্ষমতা কাজে লাগাতে কোষে শর্করা জমা করা হয়। ভাসমান শর্করার অণুগুলি বরফের স্ফটিক তৈরি হতে দেয় না। ফলে হিমাঙ্কের মাত্রা পাঁচ থেকে ছয় ডিগ্রি কমে যায়।

গ্লাসে ভরা সাধারণ পানি ডিপ ফ্রিজে রাখলে প্রায় এক ঘণ্টা পর জমে যায়। অথচ শর্করার দ্রবণ আরও বেশি সময় ধরে তরল থাকে। পানির নীচে বরফ থেকে বাঁচতে অন্যান্য গাছপালা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এ ক্ষেত্রে ওয়াটার সোলজার্স নামের উদ্ভিদ সত্যি ওস্তাদ হয়ে উঠেছে। গাছ পানির আরেকটি বৈশিষ্ট্য কাজে লাগায়। মনে রাখতে হবে, গভীর পানির নীচে কখনো বরফ তৈরি হয় না।


আইপিএলের ছাড়পত্র পেলেন মুস্তাফিজও

২১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে হেফাজতের রাস্তা অবরোধ

কিছু অসমাপ্ত উপসংহারও থাকতে হয়


হামবুর্গ বোট্যানিকাল গার্ডেনের বিজ্ঞানী কার্স্টেন শিরারেন্ড বলেন, ‘‘ওয়াটার সোলজার্স নামের পানির নীচের এই উদ্ভিদ বিশেষ এক কৌশল কাজে লাগায়। এই প্রজাতি গ্রীষ্মে সাধারণ পানির উপর ভাসমান উদ্ভিদের মতো আচরণ করে। তাতে পাতা ও ফল ধরে। হেমন্তকালে শীত বাড়লে সেই গাছের পাতা পানির এত গভীরে নেমে যায়, যেখানে সাধারণত বরফ জমতে পারে না। উপরের পানির ওজন অণুগুলির উপর এমন চাপ সৃষ্টি করে, যে সব সময়ে প্রায় চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বজায় থাকে।

রুই মাছও পনির বরফহীন অংশে আশ্রয়ের খোঁজ করে। কারণ, মাছের শরীরে প্রায় ৮০ ভাগ পর্যন্ত পানি হওয়ায় বরফ থেকে দ্রুত সুরক্ষা দরকারি। তবে বসন্তকালে এসব উদ্ভিদ পানির উপরের স্তরে ফিরে আসতে চায়।

news24bd.tv আয়শা