গরম খাবারে জিভ পুড়ে গেলে যা করবেন

গরম খাবারে জিভ পুড়ে গেলে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

খুব গরম খাবার খেলে জিভ পুড়বে, এটাই তো স্বাভাবিক। জিভ পুড়লে অস্বস্তি বোধ হয়, খাবার খেতে অসুবিধা হয়। তবে এ থেকে দ্রুত মুক্তির কিছু উপায় বাতলেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমেডি।

জিহ্বাকে দ্রুত শীতল করুন: জিহ্বা পুড়ে গেলে প্রথমেই এটাকে শীতল করার চেষ্টা করা উচিত।

যত দ্রুত সম্ভর ঠান্ডা পানি মুখের ভেতরে কিছুটা সময় রেখে দিতে হবে। চাইলে কুলি করে নিন ঠান্ডা পানি দিয়ে। এ ক্ষেত্রে বরফের টুকরা মুখের ভেতরে দিলে সেটি ক্ষতস্থানে আটকে গিয়ে আরো ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞদের মতে, সামান্য চিনি ক্ষতস্থানে দেওয়া যেতে পারে, এতে করে ব্যথা কমে যায়।

ঝাল খাবার এড়িয়ে চলুন: জিহ্বা পুড়ে গেলে এটাকে উক্ত্যক্ত করতে পারে এমন খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন। এসময় ঝাল বা মসলা জাতীয় খাবার ও গরম পানীয় অবশ্যই পরিহার করা উচিত, অন্যথায় জিভের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে। অ্যালকোহলও বর্জন করুন। এছাড়া অন্যান্য যেসব খাবার খেলে জিভে জ্বালাপোড়া করে বা অস্বস্তি লাগে তাও বাদ দিন। চিপস জাতীয় কর্কশ খাবার খাওয়া যাবে না। নরম ও হালকা খাবার খেতে হবে।

ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন: যারা স্বাস্থ্য সচেতনতার গুরুত্ব বুঝেন তারা প্রতিদিন দাঁতের পাশাপাশি জিহ্বাও ব্রাশ করে থাকেন। দাঁতের চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি আপনাকে দিনে দুইবার জিভে ব্রাশ করার পরামর্শ দিতে পারেন, কিন্তু জিভ পুড়ে গেলে এটা মানতে যাবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে, পোড়া জিভের ব্যথা ও সংবেদনশীলতা প্রতিরোধে এটা নিরাময়কালে জিভ ব্রাশ করা উচিত নয়।


বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় আটক

আইপিএলের ছাড়পত্র পেলেন মুস্তাফিজও

২১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে হেফাজতের রাস্তা অবরোধ

কিছু অসমাপ্ত উপসংহারও থাকতে হয়


দুধ পান করুন: দুধ পান করলে অথবা দুগ্ধজাত খাবার খেলে পোড়া জিভে আরাম পেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ পোড়া জিভে প্রলেপ দিতে পারে ও শীতল করতে পারে। এই উপকারিতা পেতে দইও খেতে পারেন।

লবণ-পানি দিয়ে কুলি করুন: প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার লবণ-পানি দিয়ে কুলি করতে পারেন। লবণ-পানি দিয়ে কুলি করলে তা অ্যান্টিসেফটিকের কাজ করে এবং ইনফেকশন প্রতিরোধ করে। পুড়ে যাওয়া জিভে প্রশান্তি দিতে খাবার খাওয়ার পর ও ঘুমাতে যাওয়ার আগে লবণ-পানি দিয়ে কুলি করতে পারেন। এক গ্লাস পানিতে ১/২ চা চামচ লবণ মিশিয়ে লবণ-পানি তৈরি করতে পারেন। এছাড়া জিহ্বার পোড়া স্থান আঙুল দিয়ে স্পর্শ করা যাবে না, কেননা এর ফলে তা আরো অস্বস্তি সৃষ্টি করবে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটাবে।

মধু: আক্রান্ত স্থানে মধু লাগাতে পারেন কারণ মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও প্রদাহরোধী উপাদান। এতে জ্বালাপোড়াভাব ও প্রদাহ কমবে। পাশাপাশি এটি পরবর্তী সময়ে মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করবে।

অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা যে কোনো প্রকার ব্যথা কমাতে সহায়ক। জিহ্বা বা তালুর ক্ষতস্থানে লাগান এবং জিহ্বার ভেতরে একটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব আনবে। অ্যালোভেরা জেল মুখের মধ্যে ২৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। দিনে কয়েকবার এটি করা যেতে পারে।  

news24bd.tv নাজিম