আমাদের দেশে একটা অদ্ভূত ডিগ্রি আছে। সে ডিগ্রির নাম এমফিল (MPhil)। বর্তমান সময়ে এই ডিগ্রিটা দুনিয়ার আর কোথায় আছে জানি না। আমার পরিচিত যতোগুলো স্টুডেন্ট দেশে এমফিল করে বিদেশে গিয়েছে, সবাই শুধু আক্ষেপই করেছে।
এই ডিগ্রি নিয়েও বিদেশে গিয়ে কেউ আবার মাস্টার্স করেছে। পুরো সময় নিয়ে পিএইচডি করতে হয়েছে। মাঝখানে এমফিল করতে গিয়ে কেউ তিন বছর, কেউ চার বছর সময় নষ্ট করেছে।
“এমফিল” নামক বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভূত ডিগ্রিটা নিয়ে দেশের কী পরিকল্পনা সেটা পরিষ্কার করা উচিত।
আজ যদি দেশে কেউ এমফিল করে সরাসরি বিদেশে গিয়ে এক-দুই বছর কাজ করে পিএইচডি ডিগ্রি পেতো তাহলে কথা ছিলো। তাহলে সেটার মূল্য থাকতো। তাহলে সেটার মান ও কদর থাকতো। -তা কি আদৌ হয়েছে?
আইপিএলের ছাড়পত্র পেলেন মুস্তাফিজও
২১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে হেফাজতের রাস্তা অবরোধ
এইসব ডিগ্রি বন্ধ করে দেশেই যেনো বিশ্বমানের পিএইচডি গবেষণা করা যায় তেমন সেট-আপ করা দরকার। দুনিয়ার বেশিরভাগ দেশেই ব্যাচেলর শেষে পিএইচডি শুরু করে ছেলে-মেয়েরা। আর আমরা তখন মাস্টার্স, এমফিল করে কতো সময় নষ্ট করি হিসেব আছে? আর এই সময় নষ্ট রোধ করা যাবে তখনই, যখন দেশেই সেই মানের উচ্চতর গবেষণা হবে। এবং স্টুডেন্টরা ব্যাচেলর করেই পিএইচডি শুরু করতে পারবে। তাহলে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জে আমাদের ছেলে-মেয়েদের আর সময়ের দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকতে হবে না।
রউফুল আলম, নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র।
(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv নাজিম