পোস্ট ট্রুথ জমানায় সবার উপরে বিজ্ঞাপন সত‍্য

পোস্ট ট্রুথ জমানায় সবার উপরে বিজ্ঞাপন সত‍্য

Other

স্ট‍্যালিন গেলিয়া নামের এক শিশু কন‍্যাকে কোলে নেবার পর সেই ছবি নিয়ে প্রচার প্রচারণায় ভরে গেল রাশিয়া। পাপা স্ট‍্যালিন সোভিয়েত শিশুদের পিতার মতো ভালোবাসেন। বছর খানেক পর রাজনৈতিক শত্রুতায় গেলিয়ার বাবা মা কে খতম করলেন তিনি। আর গেলিয়া নাই হয়ে গেল।

যেহেতু সারা দেশ থেকে আগের পোস্টারগুলি খুলে আনা সম্ভব না তাই তার ছবি ঠিক রেখে নাম নাখানখোভা বানিয়ে নতুন পোস্টার হলো। এই নাখানখোভা ফসল উৎপাদনে পুরস্কার পায়। আগের গেলিয়ার নাম উধাও। শত্রুর মেয়েকে কোলে নেয়া কি যাবে?

ভয়ে কেউ বললো না এই মেয়ের চেহারা গেলিয়ার সাথে মেলে।

আগের গেলিয়া কোথায় কেউ জানতেও চাইলো না। নাখানখোভা কে সেটাও জানতে চাইলো না। পাপা স্ট‍্যালিন শিশুদের এতিম করেন এটা বলতে পারলো স্ট‍্যালিন মরার পরে। ১৯৩৮ সালের ঘটনা।

মাও সেতুং কে আম উপহার দিয়েছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মাও সেই আম খেয়ে মুগ্ধ হবার পর আমের রেপ্লিকা বানিয়ে সারা দেশে সেটা দলে দলে দেখতে বাধ‍্য করা হলো চীনা জনগণকে। চীনের সাইবেরিয়ান অঞ্চলে এই আম এর মূর্তি দেখতে গিয়ে শীতের মধ‍্যে চীনারা মারাও গিয়েছিলো। মাওয়ের পছন্দ যে ফল, সেই আমও মহান।


রাতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার প্রেমিকা

ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করলো ভাসুর!

কিশোরকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী!

অশ্লীল ভিডিও চ্যাটিং ইসলামে ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত


ইসরায়েলি সংসদে একজন বলেছেন বেশ কয়েক বছর আগে যে আরবীতে প নাই তাই প‍্যালেস্টিনিয়ান কোন জাতি নাই। এসব ধাপ্পা। সত‍্য হলো আরবীতে তারা চিরকালই ফিলিস্তিন বলে। প‍্যালেস্টিন তো ইওরোপিয়ানদের উচ্চারণের সমস‍্যা। কিন্তু গায়ের জোরে তিনি বলেই গেলেন প না থাকায় গোটা জাতিটাই নাই।

অত‍্যাচারি চিরকাল মিথ‍্যা ও মিথ বানিয়ে অত‍্যাচারকে জায়েজ করে। এটার নামই পোস্ট ট্রুথ পৃথিবী। এখানে ভুয়া ছবি পোস্ট করে মহিলা শিকারীদের মুক্তিযোদ্ধা বানায় লোকজন। মহান যুদ্ধকে মিথ‍্যা ছবি দিয়ে আরো মহান করার জন‍্য।

এখানে আরেক দেশের ছবি দিয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের কাহিনী বানায় আরেক পক্ষ। এভাবে আসল মানবাধিকার লংঘন আর আসল যোদ্ধার ছবি দুটোই ঢাকা পড়ে মিথ‍্যার প্রতিযোগিতায়।

পোস্ট ট্রুথ পৃথিবীতে প্রোপাগাণ্ডা যার ভালো বেশি, সেই বিজয়ী হয়ে মিথ‍্যার ইতিহাস রচনা করে।

ফোকসওয়াগেনকে ভিন্টেজ কার হিসেবে মর্যাদা দেয় কিন্তু এটা যে হিটলারের স্বপ্নের গাড়ী ছিল সেটা বলে না। এটার নামটাও তার দেয়া। ডিজাইনার ফার্ডিনান্ড পোরশেকে দিয়ে নিজ উৎসাহে ডিজাইন করিয়েছিলেন তিনি। এটা বলবে না কারণ বিটল ফোকসওয়াগেন বেচনদারী তে মুনাফা আছে। হিটলু ভ‍্যালুলেস। হিটলুর গাড়ীতে ইওরোপ আমেরিকা সয়লাব কিন্তু টিভি সিনেমায় হিটলুকে হারিয়ে দেয়ার গৌরব এখনো চলছে।

সত‍্যবাবু মারা গেছেন আসলেই। পোস্ট ট্রুথ জমানায় সবার উপরে বিজ্ঞাপন সত‍্য। ডলারের ওপরে নাই।

news24bd.tv/আয়শা