তোমরা যারা অতি উৎসাহী আছ, তোমরা করো। আমি তোমাদের সাথে থাকব না- এভাবেই নিজের চাপা রাগ উগড়ে দিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আবদুল আউয়াল।
গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ে জামে মসজিদে শবে বরাতের বয়ানে এ কথা বলেন তিনি।
সংগঠনের ডাকা হরতালে সহিংসতার বিষয়টি তাকে ক্ষুব্ধ করেছে বলে সাফ জানিয়ে দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় এই নেতা।
তার বয়ানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা নিয়ে তুমুল আলোচনাও চলেছ।হরতালে সহিংসতায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হরতালের দিন সকালে আমাকে মসজিদের ভেতরে আটকানো হয়েছে। তারা (র্যাব–পুলিশ) আমাকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ওপর থেকে সরাসরি অ্যাকশনে যাওয়ার অর্ডার রয়েছে। আমাদের তো অস্ত্র নাই, আমরা কি তাদের সঙ্গে পারি? পরে খবরে বলতে শুনেছি, শিমরাইলে ১৭টি গাড়ি পোড়ানো হয়েছে।
আবদুল আউয়াল বলেন, ‘তারাও (পুলিশ) আমাদের বুঝতেছে না, আমাদের (হেফাজত) অতি উৎসাহী লোকেরাও আমাদের বুঝতে চাইছে না। তারা বলতেছে, হুজুর তাদের কমান্ড ভেঙে বের হয়ে গেল না কেন? আমি আর তোমাদের হেফাজতের সাথে থাকব না, আমি মসজিদে থাকব। তোমরা যারা অতি উৎসাহী আছ, তোমরা করো। আমি তোমাদের সাথে থাকব না। এখন আমার বার্ধক্য বয়স, অসুস্থ মানুষ দাঁড়াইতে পারি না, হাঁটতে পারি না। তাই আমি হেফাজতের নেতৃত্ব আর দিব না, কোনো আন্দোলনেও যাব না।
তিনি বলেন, ‘হেফাজতের আমির থাকব না, একজন মুসলমান হিসেবে সাধারণ কর্মী হিসেবে থাকব। আমি আমার জিম্মাদারি ছেড়ে দিলাম। আমি হেফাজত ইসলামের নেতৃত্বে আর থাকব না। কোনো আন্দোলনের নেতৃত্ব দিব না। আমার পক্ষ থেকে আর কোনো ঘোষণা আসবে না। অব্যাহতি দিয়ে দিলাম। ’
প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে হেফাজতে ইসলাম। এ কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজত কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২৭ মার্চ দেশব্যাপী হরতালের ডাক দেয় সংগঠনটি। ওই কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যাপক সহিংসতা হয়।
news24bd.tv নাজিম