সাফারি পার্ক বন্ধ রাখার আবেদন

সাফারি পার্ক বন্ধ রাখার আবেদন

Other

দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কটি বন্ধ রাখার জন্য আবেদন করেছেন পার্কের ইজারাদারেরা।

মঙ্গলবার পার্ক প্রকল্পের পরিচালকের কাছে ওই আবেদন দিয়েছেন তারা।

পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির জানান, তিনি পার্কের মেইন গেইট এবং কোর সাফারি পার্ক অংশের ঠিকাদারদের কাছ থেকে ওই আবেদন পেয়েছেন। এ আবেদন পাওয়ার আগেও করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সাফারি পার্ক কিছু দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা চলছে। অতি শীঘ্রই এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ পার্কটি খোলা থাকলে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে অসাবধানতাবশত: অনেক পর্যটক তথা দর্শণার্থীদের সেখানে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে পার্কের কর্মরত কর্মকর্তা ও স্টাফ ছাড়াও প্রাণীরা করোনায় সংক্রমতি হতে পারে।
 
পার্কের মেইন গেটের ঠিকাদার নাহিদা অ্যাডভার্টাইজিং এন্ড প্যাকেজিং-এর স্বত্বাধিকারী নাহিদা ইসলাম জানান, সম্প্রতি ডিউটিকালে পার্কের টিকেট কাউন্টারে দায়িত্বরত কর্মী মো. হাসিব এবং আমার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এমতাবস্থায় পার্কের প্রাণী ও স্টাফদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতে এ পার্কটি সাময়িক বন্ধ করার জন্য আবেদন করেছি।
 
এছাড়া করোনা সংক্রমণের কারণে পার্কে দর্শনার্থীর সংখ্যা কমে গেছে। এতে আমাদের রাজস্ব কিস্তির জন্য দৈনিক একলাখ ৪০হাজার টাকা আয় হওয়ার টার্গেট থাকলেও বর্তমানে ওই আয় হচ্ছে মাত্র ১৫হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। এমতাবস্থায় তিনি রাজস্ব মওকুফ ও প্রনোদনার দাবিও জানিয়েছেন।
 
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান জানান, পর্যটন মৌসুমে পার্কে দৈনিক ১০-১৫হাজার দর্শণার্থী আসলেও করোনা সংকটের কারণে তা কমে গেছে। গত মঙ্গলবার ৮০০ এবং বুধবার তিনশ’র মতো দর্শনার্থী এসেছিলেন। এর আগে দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেলে গত বছরের ২০ মার্চ থেকে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়। ওই সময়ে সরকার তাদের কাছে পাওনা রাজস্ব মওকুফ করাসহ তাদের চুক্তির মেয়াদও সমপরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গত গত বছরের নভেম্বর থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত পর্যটন মৌসুমে পার্কটি খোলা থাকায় পার্কের ইজারাদাররা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পেরেছেন।
 
তিনি আরও জানান, দর্শনার্থীরা স্বাস্থ্য বিধি ঠিকমতো মানে না। তারা মাস্ক পড়ে মেইন গেইট পার হওয়ার পরও অনেকেই মাস্ক খুলে ফেলে এবং ভেতরে বিচরণ করতে থাকে। এতে করোনার ঝুঁকি থেকেই যায়। এমতাবস্থায় পার্কটি সাময়িক বন্ধ রাখার প্রয়োজন মনে করছি।

news24bd.tv তৌহিদ