কিডনি সমস্যা বুঝবেন যেভাবে, নিয়ন্ত্রণের উপায়

কিডনি সমস্যা বুঝবেন যেভাবে, নিয়ন্ত্রণের উপায়

Other

বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ কোনো না কোনো ভাবে কিডনি রোগে ভুগছেন।

বাংলাদেশে বা সমগ্র দুনিয়াতে কিডনি রোগের প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস। আমাদের অঞ্চলের মানুষ প্রকৃতিগতভাবে ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি বা ডায়াবেটিসজনিত কিডনি প্রদাহপ্রবণ। এ ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন এর কারণেও কিডনি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস বা কিডনি কোষের প্রদাহ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। জেনেটিক কিছু কিডনি রোগ আছে যেগুলোর কিছু চিকিৎসা আছে যেমন- পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ।

কিডনি রোগ এর জটিলতা এড়ানোর তিনটি মূল ধাপ।

ক) যে সব রোগে কিডনি রোগ হয় যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা।

খ) নিয়মিত কিডনি রোগের চেক আপ করা

গ) কিডনি রোগ হলে প্রাথমিক অবস্থাতে কিডনি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া।

শরীরের কোনো অংশ ফুলে যাওয়া, এমনও হতে পারে বাস-ট্রেন জার্নি এর পর পা একটু ফুলে গেল, বা মুখ ফুলে যাওয়া। প্রস্রাব এর মধ্যে ফেনা যাওয়া, প্রস্রাব বাধাগ্রস্ত হওয়া। প্রস্রাবের রঙ ঘোলা হওয়া, বা গাঢ় সরিষার তেলের মতো হওয়া। প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া। রোগ অগ্রসর হলে শ্বাসকষ্ট বুকে ব্যথা, খাদ্যে অরুচি, বমি, খিচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, প্রচণ্ড চুলকানি এর মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

বাংলাদেশের ঢাকায় বি এস এম এম ইউ,NIKDU শেরে বাংলা নগর, কিডনি ফাউন্ডেশন মিরপুর, বারডেম এ এ চিকিৎসা পাওয়া যায়। এ ছাড়া সরকারি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ সেবা পাওয়া যায়।

ডা. শুভার্থী কর
এমবিবিএস, এম ডি সহকারী অধ্যাপক
নেফ্রোলজী বিভাগ।
সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ।