নানাজনের স্বার্থ দেখতে গেলে তো করোনা রেকর্ড গড়বেই

নানাজনের স্বার্থ দেখতে গেলে তো করোনা রেকর্ড গড়বেই

Other

মৃত্যু ৫৯। রেকর্ড শনাক্ত ৬৪৬৯। এটিই এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। কী বলবে ভাষা খুঁজে পাই না! আমরা বোধহয় ধরেই নিয়েছিলাম খুব খারাপ কিছু হবে না।

কারণ, করোনার চেয়েও শক্তিশালী আমরা। রোজ তাই নতুন নতুন ভুল করেছি। নানা গোষ্ঠীর স্বার্থ দেখতে গিয়ে বইমেলা, কখনো পর্যটনকেন্দ্র, সিনেমা হল সব খোলা রেখেছি। কাল আবার হবে এক লাখেরও বেশি ছেলেমেয়ে নিয়ে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা।
কারণ ছাত্র না পেলে তো বাণিজ্য হবে না! এভাবে নানাজনের নানা স্বার্থ দেখতে গেলে রোজ রোজ রেকর্ড তো হবেই।

অবশ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, হাসপাতালের এক ইঞ্চি জায়গা খালি থাকলেও রোগী রাখা হবে। আমি জানি না এক ইঞ্চি জায়গাও খালি পাবেন কী না। আর খালি পেলেও প্রতি ইঞ্চিতে রোগী রেখে কী চিকিৎসা হবে ওপরওয়ালা জানে। আচ্ছা গত একটা বছর কী প্রস্তুতি নিলাম আমরা? এখনো জেলাগুলোতে আইসিইউ নেই কেন? এক বছরেও প্রত্যাশিত সংখ্যায় আইসিইউ হলো না কেন? কাকে বলবো এসব?

আচ্ছা এই একটা বছরেও কী আমরা সমন্বিতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি? নাকি ইচ্ছমতো সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। অফিস-আদালত সব খোলা। গাড়িতে অর্ধেক সিট। ভাড়া তো বাড়াতে হবে। খুশি রাখতে হবে বাস কিংবা লঞ্চ মালিকদের। এভাবেই নানা গোষ্ঠীকে খুশি রাখতে নানা সিদ্ধান্ত। শুধু জনস্বাস্থ্যবিদদের কথা শোনার দরকার নেই। এক কথায় নির্দেশনা দিয়ে দিলেই হলো, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব করতে হবে।


মোবাইল ফোনে কথা বলার পরই স্কুলছাত্রীর গলায় ফাঁস

মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের

দেশে আজ সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন

করোনা ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: প্রধান বিচারপতি


আর অন্যদের কী দোষ দেব? জাতি হিসেবে আমরা নিজেরাই তো অসচেতন। এই যে রোজ রোজ রেকর্ড হচ্ছে আপনি রাস্তায় নামেন দেখবেন মাস্ক নেই বেশিরভাগ মানুষের। নেই কোনো সতর্কতা, দূরত্ব। জানি বলে লাভ নেই, তাও বলি, চলুন সতর্ক হই। সচেতন হই। এই যে দ্বিতীয় ওয়েভ চলছে তার থেকে তরুণ-বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না।

আমার ফেসবুকে প্রায় সোয়া লাখ মানুষ আছেন। প্রত্যেকের কাছে হাতজোড়ে অনুরোধ করছি-জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবার দরকার নেই। বের হলেই চলুন মাস্ক পরি। যেখানেই যাই দূরত্ব বজায় রাখি। পারলে কোভিডের টিকা নিয়ে নেই। তবে টিকা নেওয়ার পরেও মাস্ক পরতে হবে। হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা একবিন্দুও কমেনি।

আমি লকডাউন নয় ব্যক্তি সচেতনতার পক্ষে। তাই আবারও বলছি চলুন নিজেরা সতর্ক হই। মাস্ক পরি-দূরত্ব বজায় রাখি। আত্মীয় স্বজন সবাইকে সতর্ক করি। সবার সম্মিলিত সচেতনতা ও সতর্কতা ছাড়া এই মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। ভালো থাকুক এই বাংলাদেশ। ভালো থাকুক গোটা পৃথিবী। ভালো থাকুক প্রতিটি মানুষ।

শরিফুল হাসান, উন্নয়ন কর্মী

news24bd.tv তৌহিদ

সম্পর্কিত খবর