হয়তো এই বছরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না

হয়তো এই বছরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না

Other

অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে এত বাধা নিষেধ কেনো আরোপ করা হচ্ছে!!!! 

গত ১ বছরে তো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশ ভালোভাবেই পরীক্ষা নিয়ে আসছে অনলাইনে।

করোনা কালে ছাত্রদের যতটুকু বই মুখি, শিক্ষামুখি করে রাখা গিয়েছিলো তার বড় কৃতিত্ব অনলাইন পরীক্ষা আর ক্লাসের। পরীক্ষা না থাকলে কি কেউ ক্লাসে মনোযোগ দিবে? পরীক্ষা ছাড়া ক্লাসের ইফেক্টিভনেসও কমতে থাকে । ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ ধরে রাখা কি পরিমাণ কষ্টের সেটা শিক্ষক মাত্রই জানেন।

আমরা অনলাইন পরীক্ষায় বিধিনিষেধ আরোপ করছি আর পৃথিবীর সবখানে অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষার উপরে জোড় দেওয়া হচ্ছে। ইয়েল, জরজিয়া টেক সহ আইভি লিগের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে তাদের মাসটার্স ডিগ্রী সহ অনন্য ডিগ্রীর কার্যক্রম বাড়িয়েছে।


সময়মতো করোনা টেস্টের ফলাফল না পাওয়ায় এয়ারপোর্টে ভোগান্তি

পশু কোরবানির ৫৯০ ছুরি দুই মাদ্রাসা থেকে জব্দ

মিরপুর চিড়িয়াখানাও বন্ধ ঘোষণা

রংপুরে সব ধরনের মেলা ও সিনেমা হল বন্ধ


এর মাঝে তো জরজিয়া টেক মাত্র $১০০০০ এ মাস্টার্স ডিগ্রীতে ভর্তীর ব্যাবস্থা রেখেছে। পুরোটাই অনলাইনে।

 
আর আমরা বলছি, অনলাইনে ক্লাস হবে, পরীক্ষা - এসাইনমেন্ট হবে না।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের সেশন জটের মাঝে ফেলারতো তেমন কোনো দরকার নেই। কিছু ব্যাবহারিক বিষয় বাদদিলে, বাকি বিষয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষক চাইলেই সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেন। করেনও।

করোনার ভবিষ্যত কি আমরা জানি না। অবস্থা খারাপ হলে হয়তো এই বছরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে না। তাই বলে জীবন থেমে থাকবে না। আমাদের চলতে হবে, শিখতে হবে, শেখা জিনিস প্রয়োগ করতে হবে। অফলাইনে না হলে অনলাইনে।

অনেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষা দেওয়ার সক্ষমতা এবং সামর্থ্য নেই বলে ব্যাপারটাকে হলকা করতে চান। গত এক বছরের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি ৫-১০% এর কিছু সমস্যা হয়েছে। সেইসব ক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষক এবং ছাত্রদের বন্ধুবান্ধবরা মিলে সমাধান করে ফেলেছে সমস্যার। এখন ব্যাপারটা একটা সেপ এর মাঝে চলে এসেছে। এখন এটার গতিকে রুদ্ধ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

করোনা শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন এনেছে। আমাদের চেনা শিক্ষাব্যবস্থা আর থাকবে না। সেটা আমরা মানতে চাই, তা না চাই। জোর করে পুরোনো ব্যবস্থায় থাকতে চাইলে, থাকতে আমরা পারব কিন্তু এতে কারো লাভ হবে না। আর দিন শেষে নতুন ব্যবস্থাতে আমাদের যেতেই হবে।

এমন জোর করে পুরোনোকে আকড়ে ধরে থাকার উদাহরণ আমাদের আছেও। ইংরেজ শাসনআমলে অনেকেই ইংরেজি শিক্ষাকে গ্রহণ করতে চায়নি। আগের মতো টোল, মক্তবের শিক্ষাকেই যথেষ্ঠ ভেবেছিলো। তার ফলাফলও আমরা জানি।  
একই ফলাফল আমরা আবার দেখতে চাই না। কখনোই না।

রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী: সহকারি অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইউনির্ভাসিটি, ঢাকা।

news24bd.tv তৌহিদ