বাচ্চারা বাবা-মায়ের পরে নানীকেই সবচেয়ে ভালবাসে?

বাচ্চারা বাবা-মায়ের পরে নানীকেই সবচেয়ে ভালবাসে?

Other

একটা অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করেছেন?? বাচ্চারা যে কোন এক বিশেষ কারণে তার প্যাটারনাল গ্র্যান্ড প্যারেন্টস বা দাদা দাদীর থেকে ম্যাটারনাল গ্র্যান্ডপ্যারেন্টস বা নানা-নানীর সাথে ইমোশনালি বেশী এটাচড হয় ??

অবশ্যই এর এক্সেপশন ও আছে!! কিন্তু তার সংখ্যা খুব কম!! এমনকি শুধু নানা-নানী না, মামা, খালার সাথেও তাদের সম্পর্ক ফুফু চাচা দের থেকে তুলনামুলক ভাবে গভীর!!

অথচ হওয়ার কথা কিন্তু উল্টাটা!! কারণ আমাদের সমাজব্যাবস্থা পিতৃতান্ত্রীক!! জন্মের পরেই আমাদের পরিচয় হয় বাবার নামে, বার্থ সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে সমস্ত ডক্যুমেন্টস এ নেগেটিভ ডিস্ট্রিক এ দাদা বাড়ির জেলার নাম লেখা হয়!! শুধু তাই না, ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রেই পুত্র সন্তানরা যেহেতু বিয়ের পর বাবা মায়ের ভিটায় বসবাস করে তাই তাদের সন্তানরাও দাদা-দাদী, চাচা, ফুফুর সাহচর্য, সান্নিধ্যেই বড় হয়!!

তবুও বাচ্চারা বাবা মায়ের পরে নানীকেই সবচেয়ে ভালবাসে, তারপর নানাভাই কে, এবং তারপর দাদী এবং তারপর দাদা কে!! আমি সমাজবিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানী কোনটাই না, তবুও সাধারন পর্যবেক্ষণ থেকে এর কয়েকটা কারণ বের করেছি!!

নানীর সাথে, নানাবাড়ির সাথে এটাচমেন্ট তৈরীর মেকানিজম শুরু হয় বাচ্চার জন্মেরও আগে, যখন সে মায়ের গর্ভে থাকে তখন!!

এটা তো সায়েন্টিফিকেলি প্রুভড যে বাচ্চারা গর্ভে থাকা অবস্থায়ও তার মায়ের মানসিক অবস্থা ফিল করতে পারে, এই জন্যেই ডাক্তাররা বলেন- টু বি মম কে যেন সবসময় হাসি খুশি রাখা হয়!!


সময়মতো করোনা টেস্টের ফলাফল না পাওয়ায় এয়ারপোর্টে ভোগান্তি

পশু কোরবানির ৫৯০ ছুরি দুই মাদ্রাসা থেকে জব্দ

মিরপুর চিড়িয়াখানাও বন্ধ ঘোষণা

রংপুরে সব ধরনের মেলা ও সিনেমা হল বন্ধ


স্বাভাবিক ভাবেই প্রেগ্নেন্সী তে যে কোন মেয়ে মেন্টালি সবচেয়ে রিল্যাক্স থাকে তার মায়ের কাছে!! সেই থেকে নানীর সাথে তার বন্ডিং শুরু!! সে জন্মের আগেই দেখে তার মাকে সবচেয়ে কেয়ার করে তার নানী!! তার মামা খালারা তার মাকে সারাক্ষণ আগলে রাখে!! তাই জন্মের আগেই সে সিগ্নাল পায়, এরা তার এবং তার মায়ের জন্য সবচেয়ে সেইফ!!

তারপর ধরেন আমাদের দেশে প্রেগনেন্সীতে বউ কে মায়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার একটা কালচার আছে!! বেশীর ভাগ বাচ্চার জন্ম হয় নানী বাড়িতে অথবা জন্মের পর প্রথম হস্পিটাল থেকে বাচ্চারা নানী বাড়িতে যায়!! নানী রাত জেগে নাতি কে কোলে নিয়ে বসে থাকেন, হাগু মুতুর কাথা ধুয়ে দেন!! সেইখান থেকে যে হার্ট টু হার্ট এবং হাগু টু হার্ট সবচেয়ে নিস্বার্থ একটা সম্পর্ক তৈরী হয় সেটা আজীবন থাকে!!

তারপর আসা যাক বড় হওয়ার সময়ে!! বাচ্চারা তার মাকে তার শশুর বাড়িতে নানা রকম স্ট্রাগল করতে দেখে!! দেখে তার মা সারাদিন কাজ করে, সবার জন্য এতকিছু করে তবুও মা কোন এপ্রিসিয়েশন পায় না, কেও স্যাটিসফাইড হয় না!! চাচা ফুফুরা সারাক্ষণ মায়ের ভুল ধরে!! অথচ এই সিনারিও পুরা উল্টা নানীর বাড়িতে!! নানীর বাড়িতে মা যেন একটা রাজকন্যা!! তার নানা-নানী খালা মামারা তার মাকে রাজকন্যার মত প্যাম্পার করে!! দেখে তার মন ভরে যায়!! সে বোঝে তার মায়ের গুরুত্ব এই মানুষ গুলোর কাছেই সবচেয়ে বেশী!!

অতএব কনক্লুশন টা এইভাবে টানা উচিত যে- সন্তানের কাছে পৃথিবীতে মা এর চেয়ে আপন আর কেউ নাই তাই মা কে যে বা যারা সবচেয়ে বেশী ভালবাসে বাচ্চারা তাকেই বেশী ভালবাসে!! অতএব, কোন বাচ্চার মন পেতে হলে অবশ্যই তার মাকে ভালবাসতে হবে......

news24bd.tv / কামরুল