কিশোর বেলা থেকে আমার বরযাত্রা মিস যায় নি। আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধবের আত্মীয় স্বজন, পাড়াতুতো তালুইতুতো সব ভাই বেরাদারদের বিয়েতে আমাকে স্পেশাল দাওয়াত দিয়ে বরযাত্রায় নিয়ে যায়।
এর বিশেষ কারণ হলো, আমি বিভিন্ন ধরনের মুলামুলি করে গেটের টাকা প্রায় না দিয়ে বা অত্যল্প দিয়ে বরকে গেটের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে পারি। ( আমার নিজের বিয়েতে আমি একদম বিনাটাকায় গেট পার হয়ে ঢুকে গিয়েছিলাম, পরে দরিদ্র শালাশালীদের আর্ত চিৎকারে হৃদয় ভেঙে গেলে কিছু টাকা পয়সা দিয়েছিলাম বটে।
)হেফাজতের বিক্ষোভ, পুলিশের রাবার বুলেট-লাঠিচার্জ, আহত ১৫
নৌ পথে আগের মতোই গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন, অথচ ভাড়া বৃদ্ধি
ভ্যানে চাকায় ওড়না পেচিয়ে স্কুলছাত্রীর করুণ মৃত্যু
তো, এইবার আমার আত্মীয় স্বজনের মাঝে যেসব মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার্থী আছে, তারা আমারে বরযাত্রা না নিয়েই পরীক্ষা দিতে চলে গেছে! ছবি দেখে যা বুঝলাম, প্রত্যেক পরিক্ষার্থীর সাথে ৩/৪ জন করে গেছে। আমারে কেউ সাথে নেয় নি কেন জানি না। অবশ্য এটা নতুন চল হয়েছে।
আমরা ক্লাস ফাইভের পরীক্ষা দিতেও একা একা গেছি।
কিন্তু আমাদের আসলে প্রশ্ন তোলা উচিত সরকারের এফিশিয়েন্সি নিয়ে। পরীক্ষার্থী সোয়া লাখ, কেন্দ্র মাত্র ৫৫টি ! ঢাকায় ৪৭ হাজার পরীক্ষার্থীর জন্য কেন্দ্র মাত্র ১৫টি ! দেশ জুড়ে প্রতি কেন্দ্রে গড়ে ২২০০ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন নিতে হবে এই মহামারীর কালে!
সারাদেশে যদি ৩০০ কেন্দ্র করা হতো, তাহলে গড়ে জেলাপ্রতি কেন্দ্র পড়ত ৪.৫ টা। প্রতি কেন্দ্রে গড়ে পরীক্ষার্থী হতো ৪শ মাত্র !
মুরগির খাঁচার মতো করে হাতে গোনা কয়েকটা কেন্দ্রে সবাইকে জড় করবে সরকার, কিন্তু সরকারের এই ফাতরামির দিকে আঙুল না তুলে, কেন্দ্রে কেন অভিভাবক যাবে, সেটা নিয়ে আহাজারি করার কিছু নেই।
সরকারের যেসব ভোদাই এই সিস্টেম তৈরি করেছে, সেই ভোদাইদেরকে জোরে গালি দেয়া দরকার।
(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv / কামরুল