আপনি কি আকাশ দেখেছেন? এমন প্রশ্ন করলে প্রায় সবারই উত্তর হবে হ্যাঁ। অথচ কারো পক্ষে আকাশ দেখা সম্ভবই না। আমরা যা দেখি তা আকাশের সামান্য অংশমাত্র! আবার আকাশ বলতে সত্যিকার অর্থে কিছু নেই। এটি আসলে বায়ুমণ্ডলে আলোর খেলা।
একবার অংশকে সমগ্র মনে করি, আরেকবার পড়ি মায়াকে বাস্তব ভাবার চক্করে।সূর্যালোক পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে (Atmosphere) পৌঁছার পর তা বায়ুস্থিত গ্যাস ও ধূলিকণার মাধ্যমে চারিদিকে নীল আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয় এক মহাজাগতিক গম্বুজ, বলয় বা পরিমণ্ডলের মায়া। মানুষ যার নানা নাম রেখেছে, যার একটি হলো আকাশ।
বেশির ভাগ মানুষই কোনো ঘটনার পুরো সত্যাসত্য জানতে চায় না। অনেকে একটা ঘটনা সম্পর্কে কিছুটা জেনে নিজের মতো করে সেই ঘটনার একটা নিজস্ব ভার্সন তৈরি করে নেন, যা প্রায় সব ক্ষেত্রে পূর্বানুমান-নির্ভর। কেউ এর বাইরে কিছু বললেও তা তারা আমলে নেন না। বিচার-বিশ্লেষণে যাওয়াটা ঝামেলার মনে করে তা এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করেন।
কিন্তু সত্য জানতে হলে ঘটনার গভীরে না গিয়ে উপায় নেই। সব ঘটনা তো আর নিজের থেকে নিজেকে সবার সামনে মেলে ধরে না। কোনো কোনো ঘটনা পেঁয়াজের খোসার মতো একটা ছাড়ালে আরেকটা, এরপর আরেকটা- এভাবে চলতে থাকে। এতে করে সত্য প্রায় সময় অধরা থেকে যায় অথবা পূর্ণ নয়, আংশিকভাবে ধরা দেয় মাত্র।
আংশিক হোক বা পুরো, আকাশ আসলে অস্ত্বিত্বহীন এক বস্তুর চাক্ষুষ ছলনা। সাবাস চর্মচক্ষু! যা নেই তাও সে দেখিয়ে ছাড়ে। অথচ দিব্যি বিদ্যমান কতোকিছুই সে দেখে না!
আরও পড়ুনঃ
সোমবার থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ
এই সংস্কৃতিটা মামুনুল হকরা নিজে তৈরি করেছে
সৌদি যুবরাজের খেজুর খাওয়ার মতো গরীব বাংলাদেশে নেই
দল বেঁধে রিসোর্টে তাকে ঘেরাও করাকে কোনোভাবেই উৎসাহ দেয়া যায় না
শুধু চোখেরই বা দোষ দিই কী করে? বাকি আরও চার ইন্দ্রীয়ের অবস্খাও তো তথৈবচ! এদেরই সবাই যে যার মতো সত্যের মায়া বা কুহক তৈরি করে আমাদের সঙ্গে নিত্য ছল করে বেড়ায়। আর আমরা নিজের অজান্তে এই পঞ্চ ইন্দ্রীয়ের ফাঁদে পড়ে অহরহ বিপথে চালিত হই। সত্য থেকে যায় নাগালের বাইরে।
পঞ্চ ইন্দ্রীয়ের এই ধোঁকা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সত্যের সন্ধান পেতে হলে প্রয়োজন ষষ্ঠ ইন্দ্রীয়ের। যার অপর নাম তৃতীয় নয়ন, অন্তর্চক্ষু বা দিব্যদৃষ্টি। তা না হলে আলো আর আলেয়ার বিভ্রম তো কাটেই না, বরং বিষম ঘোরের মধ্যেই সাধের মানবজনম পার করতে হয়।
news24bd.tv / নকিব