ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুড়ছে আর মাওলানা মামুনুল ফূর্তি করছে : জাফরুল্লাহ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুড়ছে আর মাওলানা মামুনুল ফূর্তি করছে : জাফরুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক একজন জঘন্য ব্যক্তি বলে মন্তব্য করেছ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের  প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন  যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুড়ছে তখন উনি ফূর্তি করতে গেছেন রিসোর্টে।  

হেফাজত নেতাকর্মীদের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সোমবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।  

তিনি বলেন, আমার মতে মামুনুল হক একটা জঘন্য ব্যক্তি, ‘নাস্তিকের কোনো বাঁচার অধিকার নেই’    এই অধিকার তাকে কে দিয়েছে? উনি যেসব কথা বার্তা বলেন, এই দেশ কি উনি করেছেন? এই দেশ উনার বাবা করেছেন? আমরা করেছি। এই দেশের জন্য আমার ভাই প্রাণ দিয়েছে, আপনার বোন প্রাণ দিয়েছেন, তাদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ।

মামুনুল হকের দ্বারা বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়নি। মামুনুল হকরা এজেন্ট প্রভোকেটর। রোম যখন পুড়ছিলো নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলো। যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুড়ছে তখন উনি ফূর্তি করতে গেছেন রিসোর্টে।
ফূর্তি করেন তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু ওই নারী তার ন্যায্য স্ত্রী কিনা প্রমাণ দিতে হবে।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের কে সরকারের এত ভালোবাসার দরকার কি? সরকার তো তাদের ধরে না। একদিকে তাদের বিরুদ্বে কথা বলছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্বে তো মামলা হচ্ছে না। আমার মনে হয় সরকার এখনও হেফাজতের বিষয়ে নমনীয়। আরও আগে হেফাজতের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিলে তারা এতো বাড়তে পারতো না।

তিনি আরও বলেন, নিশ্চয়ই আমরা হেফাজতকে সমর্থন করি না, করবো না। তাদের সাথে আমাদের কোন সর্ম্পক নেই, কোনভাবেই না।

ধর্মের নামে হেফাজত নেতারা দেশে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ তুলে সংগঠনটির বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থান নেয়ার দাবি জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।


ঝর্ণার বড় ছেলের দাবী ডিভোর্সের আগেই মাওলানা মামুনুল মাকে কু প্রস্তাব দেয়

রিকশা করে বই মেলায় যেতে বাধা নেই : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

মামুনুল হক অবরুদ্ধের ঘটনায় সোনারগাঁও থানার ওসি বদলি


হেফাজতকে সঠিক মানবিক ইসলামের পথে আসার আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে শুধু লম্বা শার্ট পরলে ইসলাম হয় না। মনের দিক থেকে অন্তরের দিক থেকে রাসূল (সা:) কে অনুসরণ করতে হবে।

২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা। পুরো জেলাশহর জুড়ে চালানো হামলায়  শতাধিক সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা, বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়। হেফাজত কর্মীদের সেই হামলা থেকে বাদ পড়েনি রেল স্টেশন, ভূমি অফিস, ট্রেন, পুলিশ লাইন, সদর থানা, হাইওয়ে থানা ও টোল প্লাজা। এমনকি হামলায় দেশের সংস্কৃতির অন্যতম তীর্থস্থান সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে হেফাজত। ভয়াবহ সেই হামলার ৭ দিনের মাথায় হেফাজত ইসলামের সেই তাণ্ডবের সমালোচনা করে সোমবার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করেন ১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নেতা ড. রেজা কিবরিয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফত, রাষ্ট্রচিন্তার অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, নারীর জন্য সুশাসনের নির্বাহী পরিচালক রুবী আমানউল্লাহ, পানি বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।

news24bd.tv/আলী