প্রেসক্লাবে গিয়ে সহিংসতাকারীদের বিচার চাইলেন হেফাজত নেতারা

প্রেসক্লাবে গিয়ে সহিংসতাকারীদের বিচার চাইলেন হেফাজত নেতারা

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে হামলা চালানো হয়। এসময় মারধর করা হয় প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিনকে।

পরে এর প্রতিবাদে হেফাজতের সংবাদ বয়কটের ডাক দেয় স্থানীয় সাংবাদিকরা।

এর মধ্যে সোমবার দুপুরে হঠাৎই প্রেসক্লাবে হাজির হন হেফাজতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

তারা হলেন-  কেন্দ্রীয় হেফাজতের নায়েবে আমির সাজিদুর রহমান, জেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শহরের কান্দিপাড়ায় অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মো. মোবারকুল্লাহ, মাওলানা আলী আযম, মুফতি বোরহান উদ্দিন কাসেমী, মুফতি নোমান হাবিবি, মুফতি বোরহান উদ্দিন আল মতিন।


মসজিদে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে মানতে হবে যে নির্দেশনা

লকডাউন কি বাড়বে?

টাকা আছে বলেই সব কিনে ফেলতে হবে!

করোনা টেস্টের ফল পেতে কেন ৬ দিন লাগবে?


মতবিনিময়কালে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা ও প্রেসক্লাবে হামলার ব্যাপারে কথা বলেন।

এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা কি হেফাজতের টাগের্টে পরিণত হয়েছেন?’

এর উত্তরে জেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মোবারকুল্লাহ বলেন, ২৮ মার্চ সকালে তাঁরা শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করেন। পরে দোয়া শেষে সবাইকে নিয়ে ফিরে যান।

পরে কখন, কী ঘটনা ঘটেছে, তাঁরা তা জানতেন না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা ও প্রেসক্লাবে হামলার দায় অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার যতটুকু জানা ও বিশ্বাস, আমাদের কেউ এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। ভাঙচুরসহ সব ঘটনার জন্য আমরা নিন্দা জানাই। কে বা কারা করেছে, এসব তদন্তে বের হবে। ’

এদিকে হামলা ও ভাঙচুরকারীরা নিজেদের লোক নয় দাবি করে কেন্দ্রীয় হেফাজতের নায়েবে আমির সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের কাছে এসেছি সমবেদনা জানানোর জন্য। দুঃখ প্রকাশ করা জন্য। আমরা (২৮ মার্চ) শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করেছি। হরতালে বলেছি, কেউ সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করবেন না। যদি কেউ ভাঙচুর করে, সে আমাদের লোক নন। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করে মাদ্রাসার সামনে অবস্থান করেছি। কে বা কারা প্রেসক্লাব, ভূমি অফিসসহ আরও বিভিন্ন স্থাপনায় ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা জানি না। আমরা আগেও নিন্দা জানিয়েছি, এখনো জানাই। ’

যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও ভাঙচুর করে, তারা কোনো দিন হেফাজতের হতে পারে না বলে দাবি করে হেফাজতের এ নেতা।

প্রেসক্লাবে হেফাজত নেতাদের হঠাৎ আসা প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বলেন, ‘হেফাজতের নেতা–কর্মীরা কিছু না জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসক্লাবে আসেন। যেহেতু তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন, তাই হেফাজতের সংবাদ বর্জনের কর্মসূচির বিষয়টি প্রেসক্লাবের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বিবেচনা করা হবে। ’

এদিকে ২৮ মার্চ হামলার শিকার প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দীন বলেন, আমাকে হামলার দায় নিতে হবে হরতাল আহ্বানকারী (হেফাজত) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীকে।

news24bd.tv তৌহিদ