১.হেফাজত নেতা মামুনুলের রিসোর্ট কেলেংকারির পর সবাই মিলে যেভাবে ‘কোরান সুন্নাহ’ আর ‘ইসলামী জীবন বিধানের উদ্ধৃতি দিতে শুরু করেছেন- তাতে চিন্তিত হবো নাকি বিস্মিত হবো বুঝতে পারছি না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, মন্ত্রীরা পর্যন্ত শরিয়া আইনের উদ্ধুতি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। মনে হচ্ছে সবাই এই মুহর্তে দেশে শরীয়া আইনের বিধান চালু করে ফেলতে পারলে বেঁচে যান।
২. মামুনুলের ‘নারী কেলেংকারি’র বিরুদ্ধে সবাই যেভাবে ফুঁসে উঠেছেন, তার উগ্রবাদ ছড়ানোর বিরুদ্ধে, ধর্মের নামে সহিংসতা ছড়ানোর বিরুদ্ধে অর্ধেক প্রতিবাদ হয়েছে বলেও মনে হয় না।
বঙ্গবন্ধু ভাষ্কর্য বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেয়ার ঘোষনার বিরুদ্ধেও এতো প্রতিবাদ হয়নি। মনে হচ্ছে, মামুনুল উগ্রতা ছড়ালে, সাম্প্রদায়িকতা ছড়ালে, তার সমর্থকরা হিন্দু বাড়ী ঘরে হামলা চালালে,বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভেঙ্গে ফেললে - সেগুলো নিয়ে আমাদের তেমন একটা মাথা ব্যথা হয় না। মামুনুলের ’নারী বিষয়ক‘ ঘটনায় আমরাও একেকজন ধর্মের সিপাহসালার হয়ে যাই।৩.আইনের চোখে অপরাধ- এমন কর্ম মামুনুল কম করেনি।
শওগাত আলী সাগর, প্রধান সম্পাদক, নতুনদেশ
(মত ভিন্ন মত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv/আলী