একমত হইনি বলে দালাল হিসেবে সমালোচিত হয়েছি

একমত হইনি বলে দালাল হিসেবে সমালোচিত হয়েছি

Other

তিন দিন আগে একটা লেখা দিয়েছিলাম। লিখেছিলাম “ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার যা উন্নয়ন বা সহায়তা করেছেন তা কওমি শিক্ষার্থীদের জন্য করেছেন,  হেফাজতকে প্রশ্রয় দেননি”। কারণ কওমি শিক্ষার্থীরাও সমাজের একটি অংশ। একটি জনগোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্ন রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

দেশের সরকার হিসাবে সঠিক কাজটিই করেছেন।

এই লেখাটিকে আমাদের দলেরও অনেকেই ভালোভাবে নেননি। কেউ ইনবক্সে কেউবা প্রকাশ্যেই এসে সমালোচনা করেছেন। কোন যুক্তির তোয়াক্কা না করে বলতে চেয়েছেন, আওয়ামী লীগ হেফাজতকে লালন পালন করেছেন।

আমি তাদের সাথে একমত হইনি বলে দলের তথাকথিত সমর্থকদের কাছে দালাল হিসাবেও সমালোচিত হয়েছি। যাই হোক আমি একটি কথা তাদের স্পষ্ট করে বলেছি,সস্থা জনপ্রিয়তার জন্য আমি দলের বিরুদ্ধে, দলের কোনো নেতার বিরুদ্ধে, মন্ত্রী, এমপি কিংবা কোনো কর্মীর বিরুদ্ধেও অন্তত: সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখবো না। এটাই দলের প্রতি, দলের নেতৃত্বের প্রতি আমার “ কমিটমেন্ট ও ডেডিকেশন”। গঠনমূলক কোন সমালোচনা থাকলে তা দলীয় “যে কোনো ফোরামে (তা হতে পারে থানা কিংবা ইউনিয়ন পর্যায়ে)” গিয়ে বলবো। তবুও সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখে প্রতিপক্ষের হাতে অস্ত্র তুলে দিবো না।


আরও পড়ুনঃ


তিন পুরুষাঙ্গ নিয়ে শিশুর জন্ম!

টাকা আছে বলেই সব কিনে ফেলতে হবে!

গৃহবন্দি থাকার দুইদিনের মাথায় আনুগত্য প্রকাশ


আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সমালোচনার জন্য অনেক সুশীল আছেন, সমাজে অভাব নাই। কারণ এই দলটির বিরুদ্ধে লিখলে জাতে উঠা যায়। হেফাজতের কাছ থেকে শিক্ষা নেন। তাদের নেতা মামুনুল এতো এতো প্রমানিত আকাম করার পরও হেফাজতের নেতা কর্মীরা তার বিরুদ্ধে একটা শব্দও করেনি। বরং একাট্টা হয়ে এখনো মামুনুলের পক্ষে আন্দোলন করে যাচ্ছে মাঠে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে সবখানেই। কোনো সুশীলেরও তেমন কোনো লেখা চোখে পরেনি যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে পান থেকে চুন খসলেই সোচ্চ্চার হয়ে যান।

আজ যদি মামুনুলের জায়গায় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা এই কাজ করতো তাইলে প্রতিপক্ষের কাউকে লাগতো না, প্রমান হবার আগেই দলের তথাকথিত ত্যাগীরাই বারোটা বাজানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। এটা গ্যারান্টি দিয়েই বলা যায়।

news24bd.tv / নকিব