ধানের পরাগায়নের সময় কালবৈশাখী ঝড়ে আবহাওয়ার তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ১২৫ হেক্টর বোরো ধান নষ্ট হবার পথে। এ পর্যন্ত ওই উপজেলায় প্রায় ১২’শ কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আশঙ্কার কথা নষ্ট হওয়া জমির পরিমাণ দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে কৃষকদের ঘরে ঘরে কান্নার রোল পড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের চেয়ে অধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম জাতের বোরো ধানের শীষ সাদা বর্ণ হয়ে গেছে। এ উপজেলায় মাওহা, সহনাটি, বোকাইনগর , রামগোপালপু ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কৃষকের বোরো ফসল নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ২নং গৌরীপুর, ডৌহাখলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে আংশিক অংশে ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ১২’শ কৃষকের আনুমানিক ১২৫ হেক্টর বোরো ধান ক্ষতি হবার খবর পাওয়া গেছে।
দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড গড়ল করোনা
দেশে ফের করোনা শনাক্তের রেকর্ড
গৌরীপুর ইউনিয়নের বর্গাচাষী রবিকুল ইসলাম (৪৫) জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন। তার সম্পূর্ণ বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলোর কথা ভেবে তিনি অনেকটাই দিশেহারা।
রামগোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক আক্কাছ আলী জানান, ধার দেনা করে তিনি ১০০ শতক জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। এখন আর কিছুই নেই।
এছাড়া ফসল বিনষ্ট হয়েছে বোকাইনগর ইউনিয়নে কাশিমপুর গ্রামের কৃষক মুক্তার উদ্দিন, মাওহা ইউনিয়নের কৃষক আবু ছিদ্দিক, এমদাদুল হক, আর্শেদ আলীসহ আরও শত শত কৃষকের। সামনের দিনে নিজেদের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সরকারের কাছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের দাবি জানায় ভুক্তভোগী কৃষকরা।
news24bd.tv তৌহিদ