যারা দেশের বাড়ি গেছেন এবং দেশের বাড়িতে আছেন....

যারা দেশের বাড়ি গেছেন এবং দেশের বাড়িতে আছেন....

অনলাইন ডেস্ক

এই সাতদিনের লকডাউনকালে অথবা ছুটিতে যাঁরা ঢাকা ছেড়ে দেশের বাড়িতে গেছেন,তাঁদের প্রতি বিনয়ের সাথে একটি অনুরোধ, আপনারা নিশ্চই এই সাতটি দিন পরিচিত জন, আত্মীয়, বন্ধুদের সাথে মিশবেন, গল্প করবেন, আড্ডা দেবেন, বেড়াতে যাবেন। কিন্তু যেখানেই যান, নিজ ঘরে না ফেরা পর্যন্ত দয়া করে নাক-মুখ ঢেকে মাস্কটা পরে থাকবেন। আর অন্যজনের থেকে কমপক্ষে তিনফুট দূরত্ব বজায় রাখবেন।

সবচেয়ে ভালো হয় বাড়িতে থাকলে, খোলা জায়গায়, ফসলের মাঠে একা বেড়ালে।

আপনার যেমন স্বজন, নিজগ্রামের প্রতি মায়া আছে, ভালোবাসা আছে, ঠিক তেমনিভাবে তাদের সবাইকে করোনার সংক্রমণ থেকে নিরাপদে রাখার দায়টাও কিন্তু আছে।

ভুলে যাবেন না আপনি একটি একটি জনঘনত্বপূর্ণ করোনাময় শহর থেকে গ্রামে গেছেন, আপনার যাত্রাটাও ছিল সংক্রমণঝুঁকিতে ভরা। মন খারাপ করবেন না, হয়তো আপনি করোনামুক্ত একজন মানুষ, কিন্তু এমনওতো হতে পারে আপনি হয়তো জানেনও না আপনি করোনা পজিটিভদের একজন। হয়তো আগামী পাঁচ, ছয়দিনে করোনার কোনো লক্ষণও আপনার মাঝে প্রকাশ পাবে না।

আপনি পজেটিভ, নেগেটিভ যাই হোন দয়া করে একটু সতর্ক থাকুন যেন আপনার প্রাণের গ্রামটার,পাড়াটার, মহল্লার প্রিয়জনেরা আপনার কারণে বিপন্ন না হয়।

অন্যদিকে যাঁরা বরাবরই গ্রামে বাস করছেন তাঁদের প্রতিও একটি বিনীত অনুরোধ, আপনারাও মাস্কটা পরুন।

বিশেষ করে এই বন্ধ বা ছুটিতে যাঁরা ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন তাঁরা যত ঘনিষ্ট আত্মীয়ই হোন না কেন তাঁদের সাথে কথা বলার সময়, দেখা করার সময়, গল্প করবার সময় কোনো অবস্থাতেই নিজের মুখ থেকে মাস্কটা সরাবেন না। আর একজন থেকে অন্যজনের মাঝে কমপক্ষে তিনফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

মনে রাখবেন, গতবারের করোনার চেয়ে এবারের করোনা অনেক বেশি সংক্রামক এবং বিপজ্জনক। নিজকে সুস্থ, নিরাপদ রাখতে সামান্যতম সংকোচ করবেন না। কে কী ভাবল সেটা ভাববেন না। সময়টা ভালো না, আপনার, আমার জন্য আইসিইউতো নেইই, এমন কি হাসপাতালে একটি সিটও হয়তো মিলবে না।

ভালো থাকুন সবাই, নিরাপদে থাকুন, মাস্ক পরুন, কমপক্ষে তিনফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সম্পর্কিত খবর