বড়দের দায়িত্বহীনতার জন্য সন্তানদের মূল্য দিতে হয়

বড়দের দায়িত্বহীনতার জন্য সন্তানদের মূল্য দিতে হয়

Other

বড়দের দায়িত্বহীনতার জন্য সন্তানদের মূল্য দিতে হয়। বুধবার থেকে টরন্টোর সব স্কুল বন্ধ করে দিয়ে অনলাইন ক্লাশে ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। টরন্টো ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড (টিডিএসবি) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়ার অপেক্ষায় আছে মাত্র। এতোদিন ধরে আমরা শুনে এসেছি, স্কুল বাচ্চাদের জন্য নিরাপদ।

প্রতি মাসে একাধিবার করে প্রভিন্সিয়াল শিক্ষামন্ত্রী এথনিক সাংবাদিকদের সঙ্গে যে মতবিনিময় করেন, সেখানে তিনি সবসময়ই তথ্য উপাত্ত দিয়েই দেখিয়েছেন- স্কুল কেন নিরাপদ।

তা হলে হঠাৎ করে সব স্কুল বন্ধ করে অনলাইনে নিয়ে যেতে হচ্ছে কেন? ইস্টারের লং উইক এন্ড শেষ হতে না হতেই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত ! ইস্টার নিয়ে ফেডারেল, প্রভিন্সিয়াল সরকার উদ্বিগ্ন ছিলেন আগে থেকেই। ইস্টারের পার্টি থেকে নাগরিকদের বিরত রাখতেই অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল সরকার ‘ইমার্জেন্সি ব্রেক’ ঘোষনা করেছিলো। অন্যান্য প্রভিন্সও একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়।

জাস্টিন ট্রুডো থেকে শুরু করে চিকিৎসক, রাজনীতিক সবারই আবেদন ছিলো- এবার অন্তত ইস্টারের পার্টি নয়, জমায়েত নয়।

আরও পড়ুন


মুন্সিগঞ্জে পৌর মেয়রের বাসায় বিস্ফোরণে আহত ১২, দাবি পরিকল্পিত বিস্ফোরণ

ইথিওপিয়া সীমান্তে সংঘর্ষে নিহত কমপক্ষে ১০০

দু’দিন বন্ধের পর আবারও শুরু হল গণপরিবহন চলাচল

যাকাত আদায় করে না তাদের প্রতি আল্লাহর কঠোর বার্তা


মিডিয়ায় সেই অর্থে নিয়ম ভাঙ্গার  বা বড় জমায়েতের কোনো খবর না এলেও সরকারের তথ্য উপাত্ত বলছে- ইস্টারে মানুষের মেলামেলা হয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। একে অপরের বাড়ী গেছে, পার্টিতে জয়েন করেছে। বড় বড় পার্টি হয়নি, কিন্তু ছোটো ছোটো পার্টি হয়েছে- এটা নিশ্চিত। আর এই মেলামেশার কারনে সংক্রমণ বাড়ার আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারি ভাবে না হলেও ‘ইস্টারে যারা পার্টি করেছেন- তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না’- এমন আবেদন অনেক কানাডীয়ানই টুইটারে করেছেন। শেষ পর্যন্ত সরকারই বাচ্চাদের নিজ নিজ বাড়তে অবস্থানের ব্যবস্থা নিলো।

অথচ সরকার মার্চে স্কুলগুলোর নির্ধারিত ব্রেক দেয়নি। কথা ছিলো- এপ্রিলে হবে সেই ব্রেক। সেটিও পিছিয়ে নেয়া হচ্ছিলো। সরকারের ভয় ছিলো- বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ হলেই অভিভাবকরা সবাই বেড়াতে বেরিয়ে পরবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্কুল বন্ধই করতে হচ্ছে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ইস্টারের বন্ধের পর প্রথম কর্মদিবসেই ফোর্ড সরকারের উপর স্কুল বন্ধ করে দেয়ার প্রবল চাপ তৈরি হয়। সেই চাপের মধ্যেই প্রিভিন্সিয়াল সরকার স্কুল বন্ধ করে অনলাইনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

news24bd.tv আহমেদ

সম্পর্কিত খবর