‘শিশু বক্তা’ রফিকুল মাদানীকে দ্রুত মুক্তি না দেওয়া হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটকের প্রতিবাদে আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ নেত্রকোনা শাখা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে আটক করা হয় ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে আলোচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে (২৭)।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, আটক রফিকুল বর্তমানে র্যাব হেফাজতে আছেন।
তাঁকে কেন আটক করা হয়েছে, তা তাঁর জানা নেই বলে তিনি জানান।নিষ্কৃতি দেওয়ায় আমি সত্যিই আনন্দিত
হেফাজত নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট: ছাত্রলীগ নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে সাদা কাগজে সই
একই সময়ে পাঁচজনকে ছুরিকাঘাত, গেল দুই প্রাণ
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ. ন. ম. ইমরান খান বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হেফাজন নেতারা বলেন, রফিকুল ইসলাম মাদানী এখন কোথায় আছেন, তা তাঁদের জানা নেই। তাঁকে কেন আটক করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা বলছে না।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম মাদানীর বড় ভাই রমজান মিয়া বলেন, তাঁর ভাই গতকাল মঙ্গলবার রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ধর্মীয় সভা করে নিজের বাড়িতে আসেন। রাতের খাবার শেষে সবাই ঘুমিয়ে যান। রাত আড়াইটার দিকে র্যাব পরিচয়ে কিছু লোক প্রায় ১৯টি গাড়ি নিয়ে তাঁদের বাড়ি ঘেরাও করে। পরে রফিকুল ইসলাম মাদানী, তাঁর বড় ভাই বকুল মিয়া (৩৭) ও তাঁর দূর সম্পর্কের ভাতিজা এনামুল হককে (২৮) তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে বকুল মিয়াকে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হলেও অন্য দুজনের খোঁজ তাদের জানা নেই। তাঁর দাবি, রফিকুল ইসলাম মাদানীর ব্যবহৃত দুটি মুঠোফোনসহ তাঁদের পরিবারের ছয়টি মুঠোফোন জব্দ করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
news24bd.tv তৌহিদ