হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে প্রধান আসামী করে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দু’টি মামলা করেছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়্যাল রিসোর্টে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা করে। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়া এ মামলায় সোনারগাঁ পৌরসভা জাতীয় পার্টির সভাপতি এম. এ জামান, সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মহিউদ্দিন খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের খতিব ইকবাল হোসেনসহ হেফাজত ইসলামের উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার তবিবুর রহমান তিনটি মামলার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান শুরু হয়েছে।
‘শিশু বক্তা’ কে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি
'শিশুবক্তা' রফিকুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানাল মাওলানা মামুনুল হক
নিষ্কৃতি দেওয়ায় আমি সত্যিই আনন্দিত
এছাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ হাওলাদার বাদী হয়ে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দ্বিতীয় মামলাটি করেন। এ মামলায় ৪২ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫০/৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলায় হেফাজত ইসলাম, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ রয়েছে।
স্থানীয় এক সাংবাদিক ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে আরও একটি মামলা করেছেন।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার তবিবুর রহমান আরও মামলার কথা জানিয়ে বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় আরো একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
news24bd.tv/আলী
