ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে ঝর্ণার ডায়েরি প্রকাশ, মাওলানা মামুনুলের বিরুদ্ধে অবৈধ মেলামেশার অভিযোগ

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে ঝর্ণার ডায়েরি প্রকাশ, মাওলানা মামুনুলের বিরুদ্ধে অবৈধ মেলামেশার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার একটি রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা ওই নারীর নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা (২৭)। আট ভাই-বোনের মধ্যে  ঝর্ণা দ্বিতীয়। মামুনুল হক ওই সময় নারীর নাম আমেনা তৈয়াবা বললেও তার নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা।

তবে জান্নাত আরা ঝর্ণার আগে বিয়ে হয়েছে, সেই ঘরে আব্দুর রহমান ও তামীম নামে দুজন পুত্র সন্তান আছে।

এবার হেফাজত নেতা মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার  লেখা ২০০ পৃষ্ঠার ৩টি ডায়েরি খুঁজে পাওয়া গেছে। যাতে রয়েছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য।

ঝর্ণার ডায়েরিতে লেখা, আমাকে বিয়ে না করেই গ্রীনরোডের একটি বাসায় রাখেন মামনুল হক। আমাকে খরচের টাকাও দিতেন।

কিন্তু বিয়ে করে স্ত্রী বানান নি।

ঝর্ণার ডায়েরিতে লেখা, বিয়ের আশ্বাসের বিনিময়ে অবৈধ মেলামেশা করতেন মামুনুল যা মেনে নিতে পারেননি ঝর্ণা। বিয়ে না করে দীর্ঘদিন ধরে তার সাথে মেলামেশা করেছেন মামুনুল হক।   বিবাহবহির্ভুত মেলামেশার অনুশোচনার কথাও উঠে এসেছে ঝর্ণার ডায়েরিতে। ডায়েরির পাতায় পাতায় রয়েছে মামুনুলের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের আর্তনাদ।

ডায়েরিতে ঝর্না লেখেন, আমি তাকে ভালোবাসি না ঘৃণা করি বুঝতে পারছি না। কিন্তু সে আমার জীবনকে নরক বানিয়ে ফেলছে।  

এই ডায়েরিগুলো তার মায়ের কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝর্ণার বড় ছেলে আব্দুর রহমান। ডায়েরির গুলো ঝর্ণার সেটি নিশ্চিত করে ঝর্ণার ছেলে বলেন, একজন মহিলার সন্তানের জন্ম সাল। তার বিয়ে বিচ্ছেদ ও তার মনের দুঃখের কথা কি অন্য কেও লেখে। এটা তার বাসা থেকে পাওয়া। আর এটা আমার মায়ের ডায়েরি।

ঝর্ণা পুত্র আরও বলেন, আমাকে সে (ঝর্ণা) বলেছিলো আমার কিছু ব্যক্তিগত ডায়েরি আছে। আমি ডায়েরির বিষয়ে শিওর কারণ এটা আমার মায়েরই হাতের লেখা।

ডায়েরিতে ঝর্ণা বিয়ে প্রসঙ্গে লিখেছেন, মামুনুল হক বিয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করেননি।

এ বিষয়ে ঝর্না পুত্র ডায়েরির রেফারেন্স দিয়ে বলেন, তাদের মধ্যে একটি এ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছিলো। কিন্তু বিয়ে হয়নি।

ঝর্না পুত্র আবারও বললেন কাউকে বিশ্বাস করার আগে ভালো করে যাচাই বাছাই করার জন্য। কারণ মুখোশধারী মানুষকে দাড়ি টুপিতে চেনা যায়না।

মামুনুল হকের  বিচার দাবী করেন ঝর্ণার বড় ছেলে আব্দুর রহমান ।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে গত শনিবার এক নারীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনাসহ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন  হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।   সেখানে তিনি স্বীকার করেছিলেন  গত কয়েক দিনে ফাঁস হওয়া ফোনালাপ তারই ছিল।

ঝর্ণাকে বিয়ে না করেই টাকার বিনিময়ে অবৈধ মেলমেশা মামুনুলের (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ভিডিওটি দেখুন এখানে) 

news24bd.tv/আলী