বাংলাদেশের বায়ুমন্ডলে আস্বাভাবিক মিথেন নিঃসরণ?

বাংলাদেশের বায়ুমন্ডলে আস্বাভাবিক মিথেন নিঃসরণ?

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ক্ষেত্রে গ্রিনহাউস গ্যাস কার্বন-ডাই-অক্সাইডের থেকেও মারাত্মক মিথেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে উচ্চমাত্রায় মিথেন গ্যাসের ধোঁয়া শনাক্ত করেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা।

তবে এর উৎস নিশ্চিত না হওয়ায় বিষয়টিকে ‘রহস্যময়’ বলে উল্লেখ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্যারিসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কায়রোস এসএএস বাংলাদেশের বায়ুমণ্ডলে মিথেন নিঃসরণের ১২টি সর্বোচ্চ হার শনাক্ত করেছে।

স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে জলবায়ুর পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণা করে উক্ত ফরাসি সংস্থাটি।

বাংলাদেশের আকাশে ঘনীভূত মিথেনের চিত্র ধরা পড়েছে ব্লুফিল্ড টেকনোলজিস নামে আরেক পর্যবেক্ষকের নজরেও।

প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইয়োতাম এরিয়েল বলেন, আমাদের বিশ্লেষণ বলছে, বিশ্বের কয়েকটি সর্বোচ্চ মিথেন নিঃসরণ ঘটছে বাংলাদেশে, যা স্যাটেলাইটে শনাক্ত করা যায়।

news24bd.tv

এদিকে, মিথেন নিঃসরণের বিষয়ে বাংলাদেশ অবগত বলে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

মন্ত্রী বলেন, এটি সম্ভবত ধানক্ষেত থেকে আসছে। কৃষকরা যখন তাদের ক্ষেত সেচ দেন, তখন জলাবদ্ধ মাটিতে ব্যাকটেরিয়া বিপুল পরিমাণ গ্যাস তৈরি করতে পারে। আরেকটা উৎস হচ্ছে ল্যান্ডফিল (ময়লা পুঁতে রাখা) গ্যাস। আমরা এটি কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।

গ্লোবাল মিথেন ইনিশিয়েটিভের তথ্যমতে, গৃহপালিত পশু, তেল-গ্যাস শিল্প থেকে লিক হওয়া, ময়লার ভাঁগাড় ও কয়লার খনি হচ্ছে মিথেন নিঃসরণের মনুষ্যসৃষ্ট কয়েকটি স্বাভাবিক মাধ্যম।


আরও পড়ুনঃ


নিউইয়র্ককে টপকে এখন বিলিয়নিয়ারদের শহর বেইজিং

মাওলানা মামুনুলের রিসোর্ট কাণ্ডে 'পুরুষশুন্য' কয়েক গ্রাম!

ফেসবুকে আপনার তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা যেভাবে জানবেন

করোনা আক্রান্ত প্রতি তিনজনের একজন মস্তিষ্কের সমস্যায় ভুগছেন: গবেষণা


এনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ডের হিসাবে, বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের অন্তত এক-চতুর্থাংশের জন্য মানবসৃষ্ট মিথেন নিঃসরণ দায়ী।

ফ্রান্সভিত্তিক পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইডিএফের প্রধান বিজ্ঞানী স্টিভেন হ্যামবার্গ বলেন, বাংলাদেশের উপরে আমরা যে মিথেন ঘনীভূত হতে দেখেছি, এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে- আমাদের আরও গবেষণা দরকার। নির্গমনের বিশ্বাসযোগ্য পরিমাণ এবং উৎস নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।

news24bd.tv / নকিব